বাংলাদেশে চার শহরে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে পরাজয়কে জনগণের হুঁশিয়ারি হিসাবেই ধরছে আওয়ামি লিগের নেতৃত্বাধীন শাসক জোট। রাজশাহি, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল চার শহরেই শনিবারের নির্বাচনে আওয়ামি লিগের প্রার্থীদের পরাজিত করে মেয়র হয়েছেন বিএনপি-র প্রার্থীরা। আওয়ামি লিগের নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ দিন বলেন, “কট্টরপন্থীদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করতে পারিনি।”
প্রবীণ এই নেতা বলেন, বিরোধীরা যে সাম্প্রদায়িক প্রচার করেছে, আওয়ামি লিগ তার মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। সুরঞ্জিত বলেন, এই নির্বাচনে তাঁদের দুর্বলতাগুলি সামনে এসে পড়েছে। সাধারণ নির্বাচনে মানুষ আর সুযোগ দেবেন না। এই নির্বাচনে আওয়ামি লিগের হারের প্রধান কারণ গোঁজ প্রার্থী। বিরোধী বিএনপি-র সমর্থনে জামাতে ইসলামি যখন একজোট হয়ে লড়াই করেছে, একাধিক আওয়ামি লিগ নেতা নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
সরকারি জোটের তরফে রাজশাহিতে নির্বাচনের সর্বোচ্চ নেতৃত্বে থাকা সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা আনন্দবাজারকে টেলিফোনে বলেন, “কট্টরপন্থী শক্তিকে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিরোধ করতে পারিনি। এটা হারের একটা প্রধান কারণ। তেমনই আর একটি কারণ মৌলবাদী প্রচারের বিরুদ্ধে মুখ না খোলা।” বাদশা বলেন, “ধর্মপ্রাণ লোকেরা বিরূপ হবে, এই আশঙ্কায় আমরা মৌলবাদ ও কট্টরপন্থার বিরুদ্ধে প্রচারে নামিনি। শুধু উন্নয়নের কথা বলেছি। এটা একটা আপোষ, মানুষ যা ভাল ভাবে নেননি।” বাদশাও স্বীকার করেন, এই নির্বাচনে মানুষ সত্যিই তাঁদের সতর্ক করে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, মানুষের বার্তা বুঝতে না পারলে সরকারি জোটকে ক্ষমতা হারাতে হবে। |