টুকরো খবর
তৃণমূলকর্মী খুনে ধৃত ফব প্রার্থী
তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনার অভিযুক্ত কোচবিহার জেলা পরিষদের বিদায়ী সহকারি সভাধিপতি তথা জেলা পরিষদের ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী মণীন্দ্র বর্মনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার সকালে দিনহাটা থানার বড়শাকদল এলাকা থেকে পুলিশ মনীন্দ্রবাবুকে গ্রেফতার করে। ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন পড়েছে। জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “দিনহাটার ওই খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে মণীন্দ্র বর্মন নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” শনিবার বিকালে দিনহাটার খট্টিমারি এলাকায় বাম তৃণমূল সংঘর্ষে রতন বর্মন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তৃণমূলের তরফে দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ, বিদায়ী সহকারি সভাধিপতি মণীন্দ্রনাথবাবু-সহ ৬০ জনের নামে অভিযোগ হয়। সবার বিরুদ্ধেই পুলিশ খুনের মামলা রুজু করেছে। ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা মনীন্দ্রবাবু দিনহাটা ২ ব্লক এলাকা থেকে জেলা পরিষদে প্রার্থী হয়েছেন। দলের দিনহাটা জোনাল সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বিশু ধর বলেন, “মণীন্দ্রবাবু প্রচার করে গেলে তৃণমূল ওই আসনে জিততে পারবে না। সেটা বুঝেই মিথ্যা অভিযোগে পুলিশকে ব্যবহার করে শাসকদল তাঁকে গ্রেফতার করাল।” যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “আইন সবার জন্য সমান। অযথা ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে লাভ হবে না।” প্রসঙ্গত রবিবার ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ দিন মণীন্দ্রবাবুকে দিনহাটা আদালতে তোলা হলে জামিন নামঞ্জুর হয়।

মনোনয়ন প্রত্যাহার সিপিএমের, বিনা লড়াইয়ে জিতল তৃণমূল
সিপিএমের পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ব্লকের দমদমা গ্রাম পঞ্চায়েত বিনা লড়াইয়ে দখল করল তৃণমূল। পাশাপাশি, ব্লকের নন্দনপুর এবং গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির তিনটি আসনে সিপিএমের প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এতে ওই তিনটি আসনেও তৃণমূল জিতে গিয়েছে। হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনে দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন বলে অভিযোগ গঙ্গারামপুরের সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী নারায়ণ বিশ্বাসের। তাঁর অভিযোগ, “ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে তৃণমূল দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের যা ভূমিকা তাতে সুষ্টু ও অবাধ নির্বাচন হতে পারে না।” অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি মজিরুদ্দিন মন্ডল বলেন, “সিপিএমের প্রার্থীরা নিজেরাই বিডিও অফিসে গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। ব্যক্তিগত কারণে তাঁরা স্বেচ্ছায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বলে আধিকারিকদের জানিয়েছেন। ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ মিথ্যা।” জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী বলেন, “বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।” প্রশাসনিক সূত্রের খবর, আসনগুলিতে সিপিএম ও তৃণমূল ছাড়া আর কোনও দলের প্রার্থী ছিলেন না।

বিক্ষোভকারী নেতাদের ঠান্ডা পানীয়, লিকার চা
বিক্ষোভকারী তৃণমূল নেতাদের ঠান্ডা পানীয়, লাল চা দিয়ে ‘গাঁধীগিরি’ দেখালেন আরএসপি-র চেয়ারপার্সন সুচেতা বিশ্বাস। সোমবার বালুরঘাট পুরসভার ঘটনা। বেহাল পরিষেবা, বস্তি উন্নয়নে অনিয়ম-সহ প্রকল্প রূপায়ণে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে এদিন শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে পুরসভার সামনে জমায়েত হন তৃণমূল নেতারা। দলের টাউন সভাপতি অসিত রায় বলেন, “ছ’দশকে আরএসপি পরিচালিত বালুরঘাট পুর কর্তৃপক্ষ ক্ষমতায় থেকে জল সরবরাহে ব্যর্থতার নজির গড়ে তুলেছে। সম্প্রতি কেন্দ্র জল সরবরাহ প্রকল্পে পুরসভাকে প্রথম দফায় ৪২ কোটি টাকা দিয়েছে। পুর নির্বাচনের আগে পুরকর্তৃপক্ষ জলাধার তৈরির আগেই পাইপলাইন তৈরির কাজ শুরু করে ভোটের প্রচার শুরু করেছে।” জুলাই মাসে পুর বোর্ডের মেয়াদ শেষ। এ দিনের তৃণমূলের নেতারা বিক্ষোভ দেখিয়ে পুরসভা কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দেন। তখন চেয়ারপার্সন সুচেতা বিশ্বাস বিক্ষোভকারী তৃণমূল নেতাদের প্রথমে ঠান্ডা পানীয় দিয়ে আপ্যায়ন করেন। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে লাল চা ও বিস্কুট-সহ আলোচনা চলে নেতাদের। চেয়ারপার্সনের দাবি, “তৃণমূলের তরফে ভুয়ো অভিযোগ তোলা হয়েছে। পরিকল্পনামতো বস্তি ও নাগরিক উন্নয়নের কাজ চলছে।”

খুনে সাজা
পণের দাবিতে স্ত্রীকে বিষ খাইয়ে খুন করার দায়ে এক যুবককে ১০ বছরের কারাদন্ড দিল আদালত। ইসলামপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারপতি রঞ্জন কুমার গুপ্ত সোমবার ওই সাজা দেন। সরকারি আইনজীবী কাইজার চৌধুরী জানান, সাজাপ্রাপ্ত যুবকের নাম উজির আলম। বাড়ি চাকুলিয়ার ঝাঙ্গরটোলি এলাকায়। গত ২০০৫ সালে করণদিঘির সাইবুন বিবির সঙ্গে বিয়ে হয় উজির আলমের। বিয়ের পর থেকে তিনি পণের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ ওঠে। ২০০৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সাইবুল বিবিকে বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছে বলে তাঁর বাবা মহম্মদ সিদ্দিকি চাকুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ উজির আলমকে গ্রেফতার করে।

হামলার অভিযোগ
সিপিএম-তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সোমবার চোপড়ার কালিগঞ্জ এলাকাতে ঘটনাটি ঘটেছে। সিপিএমের চোপড়া জোনাল কমিটির সম্পাদক আনারুল হক বলেছেন, “সদস্যরা পার্টি অফিসে বসে থাকার সময় হামলা করা হয়। এক সমর্থকের হাতে গুলি লেগেছে। তাঁকে দলুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।” তৃণমূলের পক্ষ থেকেও পাল্টা আক্রমণের অভিযোগ করা হয়। এসডিপিও সুবিমল পাল বলেন, “খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.