|
|
|
|
নৃপেন-খুনে ক্ষোভ দলমত নির্বিশেষেই |
পীযূষ সাহা • মালদহ |
বয়স মাত্র ৩৯। শ্মশান থেকে বিয়েবাড়ি, এলাকার মানুষের আপদবিপদ থেকে সুখ সবেতেই নৃপেন মণ্ডলের উপস্থিতি অনিবার্য ছিল বলেই বাসিন্দাদের দাবি। রবিবার রাতে গাড়ি থামিয়ে তাঁকে খুন করার পরে শোকে বিহ্বল গোটা এলাকা। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে তাঁর দেহ আটকে সেই রাতে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে গ্রামের মানুষও।
দলীয় সূত্রেই দাবি, নৃপেনবাবুর ব্যক্তিগত প্রভাবেই টানা ১৫ বছর ধরে জাজইল গ্রাম পঞ্চায়েত দখলে রেখেছে বিজেপি। শুধু তাই নয় বিগত ১০ বছর ধরে জাজইল গ্রাম পঞ্চায়েত বিরোধী শূন্য। এ বার পঞ্চায়েতে নির্বাচনের মনোনয়নের আগে থেকেই তিনি গ্রামের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘুরে বেড়াতে শুরু করেন বলে জানা গিয়েছে। জাজইল থেকে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নৃপেনবাবু হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হয়ে বিরোধী দলনেতা ছিলেন। এ বারেও তিনি পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হয়েছিলেন। |
|
নিহত বিজেপি নেতার শোকার্ত পরিজনেরা। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়। |
শুধু জাজইল গ্রাম পঞ্চায়েতই নয় পাশের মঙ্গলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও বৈদ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েত গতবার বিজেপি দখল করে। দলও এই সফলতার জন্য নৃপেনবাবুকেই কৃতিত্ব দেয়। এদিন তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে কংগ্রেস, সিপিএম সব দলের কর্মী সমর্থকরাই তাঁর বাড়িতে গিয়েছিসেন। গিয়েছিলেন, হবিবপুর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি থেকে শুরু করে কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নূর। মৃতদেহে ফুল দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম সভাপতি ধীরেন মুরারী। তাঁর কথায়, “রাজনৈতিক ভাবে আমরা ওর চরম বিরোধী। কিন্তু ওঁর মতো ভাল ছেলে হয় না। পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা থাকলেও উন্নয়নের কোনও কাজে বাধা দেয়নি।”
হবিবপুর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি হেমন্ত শর্মা বলেন, “নৃপেনবাবুকে কারও সঙ্গে কোনও দিন ঝগড়া করতে দেখিনি।” ভোর বেলায় নৃপেনবাবুর দেহ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার পরে গ্রামের মানুষ তাঁর বাড়িতেই বসেছিলেন। এদিন দুপুরেও নৃপেণবাবুর জয়দেবপুর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে অসংখ্য বাসিন্দাকে দেখা যায়। |
|
|
|
|
|