জলসঙ্কটে রায়গঞ্জের গ্রাম
রম শুরু হতেই রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন গ্রামে জলসঙ্কট শুরু হয়েছে। জলস্তর নেমে ফি বছরই এলাকার একাধিক নলকূপ বিকল হয়ে যায়। যে নলকূপগুলি সচল থাকে সেগুলি দিয়েও আয়রণ ও কটু গন্ধযুক্ত জল বের হয় বলে বাসিন্দাদের দাবি। পঞ্চায়েত ভোটের কারণে, চলতি বছর এই জল সঙ্কটের অভিযোগ গ্রামে প্রচারের অন্যতম ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গ্রামে প্রচার চালানো রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থীদের কাছে জলসঙ্কট সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি চাইছেন বাসিন্দারা। গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ওই পঞ্চায়েত কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতে বিদায়ী কৃষি সঞ্চালক তথা কংগ্রেসের দলনেতা দূর্গেশ ঘোষ বলেন, “কর্তৃপক্ষকে পাঁচ বছর ধরে একাধিকবার প্রস্তাব পাঠানো হলেও নলবাহিত বিশুদ্ধ পানীয় জলের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয় নি। সে কারণেই এবছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে যাওয়া দলীয় প্রার্থীদের কাছে জলসঙ্কট সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি চান বাসিন্দারা।” কংগ্রেস পরিচালিত জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি মোক্তার আলি সর্দারের দাবি, “রাজ্য সরকার টাকা বরাদ্দ না করায় জলের পরিকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারির আগেই নলকূপগুলি মেরামত করার কাজ শুরু হয়েছে। এবারে কংগ্রেস জেলা পরিষদ দখল করলে নিজেরাই যে ভাবে হোক উদ্যোগ গ্রহণ করব।”
সিপিএম ও তৃণমূলের অভিযোগ, কংগ্রেস পরিচালিত বাহিন পঞ্চায়েত গত তিন দশকে পানীয় জলের সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। পঞ্চায়েতের বিদায়ী সদস্য জেলা পরিষদের স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ খাতুনের অভিযোগ, “কংগ্রেসের ব্যর্থতার কারণে বাসিন্দারা তৃণমূল প্রার্থীদের কাছে জল সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি চাইছেন। তৃণমূল কংগ্রেস এই পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করলে সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করবে।” সিপিএমের রায়গঞ্জ জোনাল কমিটির সম্পাদক বাপি ভৌমিক বলেন, “ওরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় এলে পানীয় জলের সঙ্কট মেটানোর চেষ্টা করবেন বলে প্রচার চালিয়ে বাসিন্দাদের ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে।”
বাহিন পঞ্চায়েতের ১৯টি সংসদে। ১২ হাজার পরিবারের বাসিন্দার সংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার। ৮০ শতাংশের মূল পেশা কৃষিকাজ ও দিনমজুরি। প্রায় ৪ হাজার পরিবারের নিজস্ব নলকূপ নেই। ওই সব পরিবারের সদস্যরা সরকারি নলকূপের জলের ওপরেই নির্ভরশীল। পঞ্চায়েতের প্রতিটি সংসদ মিলিয়ে প্রায় ৩০০টি সরকারি নলকূপ রয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গরম বাড়তেই জলস্তর নেমে বেশির ভাগ নলকূপ বিকল হয়ে যায়। বাড়ির নলকূপগুলি দিয়েও গরমে সুতোর মতো জল বেরোয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা ভক্ত দাস, পৃথ্বিশ বর্মন, মতিউর রহমান বলেন, “এবছর ভোটের প্রচারে জল নিয়ে সব দলের কাছে উত্তর চাইছি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.