|
|
|
|
দখলে রুদ্ধ রথবাড়ি, ইসলামপুর |
পীযূষ সাহা • মালদহ |
জাতীয় সড়ক দখল করেই বাজার বসে মালদহ শহরের রথবাড়িতে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দখল করে দিনের পর দিন বাজার বসলেও পুরসভা অথবা প্রশাসনের হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। প্রায় ৫ বছর আগে একবার প্রশাসন ও পুরসভা যৌথ অভিযান চালিয়ে জাতীয় সড়ককে দখল মুক্ত করলেও, কয়েক মাসের মধ্যেই অবস্থা ফের সড়ক আগের চেহারা নিয়েছে। শুধু তাই নয়, আগে রথবাড়ির কাছে চার লেনের সড়কে একটি লেনে মাত্র একটি বাজার বসত, এখন দখলদারি ছড়িয়েছে দুটি লেনে। বাজার বসার ফলে প্রতিদিনই যানজটে চরম হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কর্মাস-এর পক্ষ থেকে জাতীয় সড়কের উপর থেকে বাজার সরাতে ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান রাজ্যের পযর্টন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীকে আবেদন করা হয়েছে। পুরসভা ও জেলা প্রশাসনের তরফে জাতীয় সড়ক থেকে বাজার সরানোর ব্যবস্থা না করায় জেলার ব্যবসায়ীদের মধ্যেও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। পযর্টন মন্ত্রী তথা ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি আমার নজরে আছে। গ্রাম থেকে শহরে আসা মহিলা-পুরুষ জাতীয় সড়কে সবজি বিক্রি করতে বসে পড়ে। তাদের সরানো যাচ্ছে না। পঞ্চায়েত নিবার্চনের পরই বাজার তুলে দেওয়া হবে। জাতীয় সড়কে উপর বাজার বসতে দেওয়া হবে না।”
একই কথা বলেছে জেলাশাসক কিরণ কুমার গোদালা। তিনি বলেন, “ভোট মেটার পরই পুরসভার সঙ্গে জাতীয় সড়ক দখলমুক্ত করা হবে।” |
|
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বাজার। মালদহের রথবাড়িতে। —নিজস্ব চিত্র। |
মালদহ শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম জায়গা রথবাড়ি মোড়। রথবাড়িতেই রয়েছে নেতাজি পুর বাজার। নেতাজি পুর বাজারের পশ্চিম দিকে রয়েছে চার লেনের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। চার লেনের জাতীয় সড়কের দু’পাশে রয়েছে ফুটপাত। ভোর পাঁচটার আগে থেকেই ফুটপাত পেরিয়ে এক নম্বর লেনের উপর বাজার বসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সেই বাজার দুই নম্বর লেনে ছড়িয়ে পড়ে। আলু, পটল, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পাইকারি থেকে ফুল, ফলের বাজার বসছে। বাজারের ঠেলায় জাতীয় সড়কের প্রথম লেনে কার্যত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
গাড়ি নিয়ে ওই প্রথম লেনে কেউ ঢুকে পড়লে বিক্রেতারা উল্টে তাদের দিকে ধেয়ে আসে বলে অভিযোগ। নেতাজি পুর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পাঁচ বছর আগে পুরসভা ও জেলাপ্রশাসন জাতীয় সড়ক থেকে বাজার রবীন্দ্র ভবনের কাছে ইংরেজ বাজার নিয়ন্ত্রিত বাজারের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। যদিও কয়েক মাস যাওয়ার পর ফের জাতীয় সড়কে বাজার বসতে শুরু হয়। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক উজ্জল সাহা বলেন, “কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীকে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জাতীয় সড়ক থেকে বাজার তুলে দেওয়ার আবেদন করেছি। মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন। জাতীয় সড়কে বাজার বসার ফলে প্রতিদিনই যানজট হচ্ছে। বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।” |
|
|
|
|
|