ছোট ছোট রাস্তা দখল করে বসছে বাজার। এমনকী, ব্যস্ততম রাস্তাগুলিরও ঠিক একই হাল। তাতে চলাচল করাই কঠিন। স্কুল-কলেজ, অফিসে ব্যস্ততার সময়, রোগী নিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়তে হচ্ছে শহরবারীকে।
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাজার এলাকাতে মাছ এবং সবজির মূল বাজার থাকলেও শহরের অন্যত্রও বহু জায়গাতেই রাস্তার উপরে বাজার বসে যায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পথ আটকে বাজার বসা নিয়ে সমস্যা থাকলেও ইসলামপুর পুর কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে উদাসীন। শুধু শহরের ভিতরে নয়, ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরও বসছে বাজার। শহরের হাইস্কুল মোড় এলাকায় ফুটপাথ দখল করেছে ফলের বাজার। জাতীয় সড়কের ধার বরাবর বসা ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রিত বাজারে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইসলামপুরের মহকুমা প্রশাসন। ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল অগ্রবাল এই প্রসঙ্গে বলেন, “ইসলামপুর মাছ বাজারটি সবজি বাজারের পাশে আনার পরিকল্পনা চলছে। মাছ বাজার সরিয়ে নেওয়ার পরই আনাচে কানাচে গজিয়ে ওঠা বাজারগুলি ইসলামপুরের পুরাতন মাছ বাজারের জায়গায় স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা করেছি। আশা করছি দ্রুত তা করতে পারব।”
মহকুমাশাসক সমনজিত্ সেনগুপ্ত বলেছেন, “ফল ব্যবসায়ীদের বলেছি নিয়ন্ত্রিত বাজারে গিয়ে ব্যবসা করার। ব্যবসায়ীরা আরও কয়েকটি দোকান দবি করেছেন। তারও ব্যবস্থা হচ্ছে।” কেবল ফল নয় শহরের বিভিন্ন মোড়ে চলছে মাছ থেকে সবজি বাজার। তাতে স্থানীয় বাসিন্দারা কেনাকাটা করার সুবিধা পেলেও পথচারী বা গাড়ি নিয়ে যাতায়াতে বাসিন্দাদের সমস্যায় পড়তে হয়। এতে এক দিকে যেমন যানজট বাড়ছে অন্য দিকে রাস্তার পাশে বাজার হওয়ার ফলে দুর্ঘটনাও বেড়ে গিয়েছে।
শহরের কলেজ মোড় এলাকাতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বাস স্ট্যান্ডের শেড দখল করে চলছে মাছ বাজার। আবার আশ্রমপাড়া এলাকায় রাস্তার মোড় দখল করেই রোজ বসছে বাজার। শহরের বেশির ভাগ অফিস, আদালত যে এলাকায়, পার্ক মোড়েও রাস্তার দুই পাশ দখল করে বসছে সবজি এবং মাছের দোকান। সেখানে বেশ কিছু সরকারি আবাসন থাকায় ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ভালই চলছে। ইসলামপুর শহরের বাসিন্দা কৃষ্ণ যাদব ও মিন্টু সরকার বলেন, “শহরের পার্ক মোড়ের রাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেশির ভাগ অফিস আদালত সবই যেতে হয় ওই রাস্তা দিয়েই। দমকলের কার্যালয় ওই রাস্তায়। আছে ইসলামপুর সংশোধনাগারটিও। কাজেই পুরসভার উচিত ওই বাজারগুলি সরিয়ে অন্যত্র বসানোর বিকল্প ব্যবস্থা করা। এর ফলে শহরবাসীরা উপকৃত হবেন।” |