|
|
|
|
রোদে, লোডশেডিংয়ে নাজেহাল সব প্রার্থীই |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
অসহ্য গরম। তাঁর উপরে লোডশেডিংয়ের দাপটে নাজেহাল পঞ্চায়েত ভোট প্রার্থীরা। দিনে রাস্তায় বেরোনো সম্ভব হচ্ছে না। সন্ধ্যার পরে প্রচারে যাবেন তারও উপায় নেই। কারণ লোডশেডিং।
শাসক দলের প্রার্থীরা বিকেলের পরে ভোট চাইতে গেলে লোডশেডিং নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। বিরোধীরা লোডশেডিংকে ইস্যু করে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। যদিও ওই এলাকার তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতি প্রার্থী মিতু চক্রবর্তী বলছেন, “বাম আমলে যে হারে লোডশেডিং হত এখন হয় না। আগামীতে তাও হবে না” ধুপগুড়ি, রাজগঞ্জ, নাগরাকাটা, মাদারিহাট, ক্রান্তি, কালচিনি জুড়ে একই ছবি। লোডশেডিংয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। বিকেলের পর থেকে সেখানে হাতির উপদ্রব শুরু হয়ে যায়। তাই অন্ধকারে কেউ আর ঝুকি নিচ্ছে না। ফব-র জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক প্রবাল রাহা বলেছেন, “রোদের জন্য দিনে ও রাতে লোডশেডিংয়ের জন্য প্রচার করার উপায় নেই।”
এ দিকে, দাবদাহের জেরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন জেলার সব স্কুল, শিশুশিক্ষা কেন্দ্রগুলিকে সকাল থেকে শুরুর নির্দেশ দেয়। জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী বলেন,“পরিস্থিতির বদল না হওয়া অবধি সকালেই স্কুল পরিচালনার করতে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” এ দিন জেলা প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শক পঙ্কজক সরকার বলেছেন, “আজ, মঙ্গলবার থেকে জেলার সব প্রাথমিক স্কুল ও শিশুশিক্ষা কেন্দ্রগুলি দুপুরের বদলে সকাল ৭টা থেকে চালু করার জন্য অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের কাছে নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জুন মাসে এই সমস্ত স্কুলে সকালে পঠনপাঠন হবে।” এ দিন কুমারগঞ্জের জয়দেবপুর মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী আরফাতুন খাতুন গরম সহ্য করতে না পেরে স্কুলে অসুস্থ হয়ে হয়ে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। |
|
|
|
|
|