|
|
|
|
অভিযোগ জানাতে এসে বন্দি হলেন বাসিন্দারাই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ধূপগুড়ি |
প্রায় একমাস ধরে গ্রামে বিদ্যুত্ নেই, বিদ্যুত্ পর্ষদের দফতরে এই অভিযোগ জানাতে গেলে গ্রামবাসীদের অফিসে তালা বন্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে কর্মীদের বিরুদ্ধে। ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুঁঠি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কুল্লাপাড়া গ্রামের ২৫ জন বাসিন্দাকে টানা এক ঘণ্টা পর্ষদের অফিসের একটি ঘরে তালা বন্দি করে রাখা হয় বলে অভিযোগ। ঘর বন্দি হয়ে থাকলেও ভাঙচুর তো দূরের কথা, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ তালা খুলে গ্রামবাসীদের বের করতে চাইলেও তাঁরা বেঁকে বসেন। সোমবার দুপুরে ধূপগুড়ি বিদ্যুত্ পর্ষদের অফিসে।
ধূপগুড়ি থানার আই সি যুগল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “কোনও পক্ষই বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করে নি।” পর্ষদের জোনাল ম্যানেজার অশোক কুমার সিংহ বলেন, “ঘটনাটি শুনি নি। তবে কিছুদিন আগে ধূপগুড়ির গ্রামে গিয়েই আমাদের কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল, গাড়িও ভাঙচুর হয়। পুলিশে অভিযোগও করা হয়েছিল। সোমবার কী ঘটেছিল খোঁজ নেব। কর্মীদের দোষ থাকলে সেক্ষেত্রেও ব্যবস্থা হবে।”
তবে পর্ষদের কর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন, এলাকায় এক মাসের বেশী সময় ধরে ২০ টি ট্রান্সফরমার খারাপ হয়ে থাকলেও জেলা নতুন ট্রান্সফরমার না পাঠানোয় প্রতিনিয়ত ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে।
ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুঁঠি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কুল্লাপাড়া গ্রামের ১৫০ টি পরিবার গত এক মাস ধরে বিদ্যুত্হীন অবস্থায় রয়েছেন বলে অভিযোগ। গরমের পাশাপাশি বিদ্যুত্ না থাকায় জমিতে জল সেচ ব্যবস্থা থমকে গিয়েছে। গ্রাম থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে ধূপগুড়িতে গিয়ে পর্ষদের দফতরে প্রথম থেকে বিদ্যুতের দাবিতে আর্জি জানানো হয়েছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। একবার কর্মী গ্রামে এসে ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়ে গেলেও কবে নতুন ট্রান্সফরমার বসিয়ে বিদ্যুত্ ব্যবস্থা সচল করা হবে সে বিষয়ে কোন আশ্বাস পান নি।
সোমবার একটি গাড়ি ভাড়া করে ধূপগুড়ি শহরে পৌঁছন ২৫ জন বাসিন্দা। অফিসে ঢুকে কর্মীদের সঙ্গে তর্ক বিতর্ক শুরু হওয়ার পরে পর দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। বিক্ষোভ তুঙ্গে ওঠার পর কর্মীরা ঘর থেকে বেরিয়ে বাইরের দিক থেকে বিক্ষোভকারীদের ঘরে তালা বন্ধ করে ঘর বন্দি করেন বলে অভিযোগ। ঘর বন্দি কয়েকজন ফোন করে স্থানীয় বাসিন্দা ও সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের খবর দেন। গ্রামের বাসিন্দা দীপঙ্কর সরকার বলেন, “গ্রামের মানুষকে পর্ষদের অফিসাররা মানুষ বলে মনে করেন না। আজ প্রতিবাদ করতে আমাদের ঘরে তালাবন্দি করে রাখল।” |
|
|
|
|
|