পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খূবর, বসিরহাটের ধলতিথা গ্রামের বাসিন্দা আনসার কখনও আম বিক্রি করে, কখনও ইটভাটায় কাজ করে সংসার চালাতেন। রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ স্থানীয় বারুইপাড়ায় জয়দেব বাড়ুই নামে এক ব্যক্তির কাছে গিয়েছিলেন পাওনা আদায় করতে। সেখানে কয়েকজন দুষ্কৃতী মোটর সাইকেলে এসে তাঁকে তুলে নিয়ে চলে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুষ্কৃতীদের মুখ বাঁধা ছিল। সকলের হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র থাকায় কেউ বাধা দিতে সাহস পাননি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, দুষ্কৃতীরা আনসারিকে স্থানীয় একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে প্রচণ্ড মারধর করে। তার পর তাঁকে সন্ধ্যায় সাতটা নাগাদ মোটর সাইকেলে করে নিয়ে এসে বসিরহাট হাসপাতাল চত্বরে ফেলে পালিয়ে যায়।
আনসারির দাদা সুরত আলি মণ্ডল বলেন, “আমাদের পরিবারের ১৪ কাঠা জমি রয়েছে। কিছুদিন আগে ওই জমি এক ব্যবসায়ী কিনে নিতে চান। আমরা রাজি না হওয়ায় দুষ্কৃতীদের দিয়ে নানারকম হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ভাই এর প্রতিবাদ করে। সেই কারণেই দুষ্কৃতীরা তাকে খুন করেছে। নীলিমা বিবি বলেন, “মাসখানেক আগে একবার জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য রাতের বেলায় দুষ্কৃতীরা এসে বাড়িতে হামলা চালায়। ওদের বলেছিলাম আমার স্বামীকে মেরো না। কিন্তু ওরা তা শুনল না।”
বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে। জমি সংক্রান্ত বিবাদ নাকি পুরনো শত্রুতার জেরে খুন তার তদন্ত হচ্ছে।” |