রাতে টিভি-তে শ্রীলঙ্কার ম্যাচ দেখতে দেখতে একটা জিনিস বুঝতে পারলাম। এই দলটার মধ্যে একটা দারুণ লড়াইয়ের স্পিরিট আছে। দিলশানের অসাধারণ ক্যাচটা যার অন্যতম সেরা উদাহরণ। শ্রীলঙ্কার ২৫৩-৮ তাড়া করে একটা সময় অস্ট্রেলিয়া ১৯২-৯ হয়ে যায়। সেখান থেকে শেষ উইকেটে ক্লিন্ট ম্যাককে (৩০) আর জেভিয়ার ডোহার্টি (১৫) ২৩৩ পর্যন্ত দলকে টেনে নিয়ে যায়। যখন মনে হচ্ছিল শ্রীলঙ্কা বুঝি ছিটকে যাবে, নিজের বলে দিলশানের ওই দুর্দান্ত ক্যাচ ওদের সেমিফাইনালে তুলে দিল।
এ রকম একটা ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা মানে শ্রীলঙ্কা কিন্তু তেতে থাকবে। ভারতকে এই ব্যাপারটা চ্যালেঞ্জে ফেলে দিতে পারে। তবে তার আগে যে জিনিসগুলো ধোনিকে আশ্বস্ত করতে পারে, সেগুলো বলে নিই। |
শ্রীলঙ্কা দলটা দেখছি পেস নির্ভর বোলিং অ্যাটাক। কার্ডিফে কিন্তু বল ঘুরবে। সেখানে আমাদের দুই স্পিনার জাডেজা এবং অশ্বিন অনেক এগিয়ে রঙ্গনা হেরাথের চেয়ে। আর ওদের পেসারদের মধ্যে মালিঙ্গাকে এখন ভারতীয়রা অনেক বার খেলেছে।
ভারতীয় ব্যাটিংকে এত বিপজ্জনক দেখাচ্ছে দুই ওপেনারের জন্য। শিখর-রোহিত দু’জনেই খুব ভাল ফর্মে। ওপেনাররা একবার রান পেয়ে গেলে ভারত কিন্তু সব সময় বিপজ্জনক। ভারতের মিডল অর্ডারকে তো এখনও প্রয়োজনই হয়নি এই টুর্নামেন্টে। বিশ্বের সেরা ফিনিশার দলে রয়েছে, অথচ ধোনির দরকারই পড়েনি। এতেই বোঝা যায় ভারতের শক্তিটা।
আমাদের ব্যাটিং শ্রীলঙ্কার চেয়ে বেশ এগিয়ে। আর ফর্মে। প্রথমে ব্যাট করলে কার্ডিফে ৩০০ তোলা ভারতের পক্ষে আদৌ কঠিন হবে না। আর সেটা হলে ধোনির হাতে বোলার আছে শ্রীলঙ্কাকে আটকে রাখার। নতুন বলে ভুবনেশ্বর কুমার যে বোলিংটা করছে, সেটা শ্রীলঙ্কানদের কারও কাছ থেকে দেখা যাচ্ছে না। আর নতুন বলে ভারতীয় ওপেনাররা যে ব্যাটিংটা করছে, সেটাও বিপক্ষকে চাপে রেখে দিচ্ছে। নতুন বলের অঙ্কেই শ্রীলঙ্কার চেয়ে ধোনিদের আমি এগিয়ে রাখছি।
|
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সেমিফাইনালে
ইংল্যান্ড : দক্ষিণ আফ্রিকা (বুধবার, ওভাল)
ভারত : শ্রীলঙ্কা (বৃহস্পতিবার, কার্ডিফ) |