|
|
|
|
কংগ্রেস-তৃণমূল সমঝোতা সাঁকরাইলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁকরাইল |
দলের শীর্ষনেতারা যতই একলা চলার কথা বলুন, এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে নিচুতলায় কয়েকটি জায়গায় যে তৃণমূল ও কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হয়েছে, তা স্পষ্ট হাওড়ার ডোমজুড়ের মহিয়াড়ি-২ পঞ্চায়েতে।
গত বারের পঞ্চায়েত ভোটে ওই পঞ্চায়েতে দু’পক্ষের আসন সমঝোতা হয়েছিল। এ বারও তাই। পঞ্চায়েতের মোট আসন ১০টি। কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ৫টি আসনে। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী দেয়নি। আবার তৃণমূল যে পাঁচটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে, সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী দেয়নি। সরাসরি স্বীকার না করলেও পরোক্ষে অবশ্য বিষয়টি মানছেন তৃণমূল ও কংগ্রেসের স্থানীয় নেতারা।
মহিয়াড়ি-২ অঞ্চল কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, “দলীয় সংগঠন দুর্বল হওয়ায় ওই পঞ্চায়েতের পাঁচটি আসনে আমরা প্রার্থী পাইনি। জোর করে প্রার্থী দিলে হয়তো ওই বুথগুলিতে তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হত। সুবিধা পেত সিপিএম। তাই আমরা পাঁচটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছি। একে যদি আসন সমঝোতা বলা হয়, তো বলা হোক।”
|
দেওয়াল লিখন চলছে নানা জায়গায়। আরামবাগে মোহন দাসের ছবি। |
সাঁকরাইল বিধানসভা এলাকার এক তৃণমূল নেতার দাবি, ‘‘ওই পঞ্চায়েতে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে যার যেখানে সংগঠন ভাল, সে-ই সেখানে প্রার্থী দিয়েছে। মূল লক্ষ্য বামফ্রন্টকে হারানো।” তৃণমূলের মহিয়াড়ি-২ অঞ্চল সভাপতি নিজামুদ্দিন শেখ অবশ্য আসন সমঝোতার কথা মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, “গতবারের পঞ্চায়েতে সমঝোতা হলেও এ বারে হয়নি।”
মহিয়াড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আসন সমঝোতা করে সাফল্য পেয়েছিল তৃণমূল-কংগ্রেস। তাদের দখলে ছিল ৮টি আসন। সিপিএমের ২টি। বিরোধীদের এই আসন সমঝোতাকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ সিপিএম। দলের ডোমজুড় জোনাল কমিটির সম্পাদক অংশুমান আঁশ বলেন, “ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূল ও কংগ্রেস প্রকাশ্যেই জোট করেছে।” তাঁর দাবি, হাওড়া উপ-নির্বাচনে ওই পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি বুথে তৃণমূল ও কংগ্রেসের মিলিত ভোটের থেকেও সিপিএমের ভোট বেশি রয়েছে। তাই সিপিএমই জিতবে।
|
|
|
|
|
|