|
|
|
|
বনধ সফলে মরিয়া বিজেপি, সতর্ক প্রশাসন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
ক’দিন আগেও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিরোধীদের ডাকা বনধ ব্যর্থ করতে রাস্তায় নেমেছে দু’দল। জোট ভেঙে যাওয়ার পর রাতারাতি বিপরীত মেরুতে বিজেপি আর জেডিইউ। বিজেপি এখন রাজ্যের বৃহত্তম বিরোধী দল! তাদের ডাকেই কাল, মঙ্গলবার বিহারে ২৪ ঘণ্টার বনধ। রাজ্যে দিনটিকে ‘বিশ্বাসঘাতক দিবস’ হিসেবেও পালনের ডাক দিয়েছে তারা। বনধ ব্যর্থ করতে প্রস্তুত নীতীশ কুমারের প্রশাসনও। যদিও সরকারি দল হিসেবে জেডিইউ এই বন্ধ মোকাবিলায় রাস্তায় নামবে না। নীতীশের নির্দেশ, বিজেপি-র কোনও প্ররোচনাতেই যেন দলের কর্মী-সমর্থকরা পা না দেন।
জেডিইউ যে বিজেপি-র সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে যাবে না, নীতীশ কুমার কালই সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, “বিজেপি-র সঙ্গে এত দিন কাজ করেছি। কেউ যেন তাদের বিরুদ্ধে কটূ মন্তব্য না করে।” আজ জেডিইউ নেতা শ্যাম রজক বলেন, “সরাসরি রাস্তায় নামব না।” জেডিইউ নেতৃত্বের বক্তব্য, এক দিনের বনধ সফল না ব্যর্থ, তা দিয়ে রাজনীতির অঙ্ক মেলানো যায় না। বরং পরবর্তী ক্ষেত্রে জেডিইউ নেতা-কর্মীরা ছোট ছোট সভা করে কেন কী পরিস্থিতিতে নীতীশ কুমার এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন, তা সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাখ্যা করবেন।
তবে কাল বনধ সফল করতে বদ্ধপরিকর রাজ্য বিজেপি। দলের রাজ্যস্তরের এক নেতার কথায়, “কাল থেকে বিরোধী দল হয়ে গিয়েছি। আর বিরোধী দলের বনধ যে ভাবে সফল করতে হয়, আমরা সে ভাবেই রাস্তায় নামব।” একই ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি মঙ্গল পাণ্ডেও। আজ সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “জেডিইউ বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তাই আমরা ১৮ তারিখ বিশ্বাসঘাতক দিবস পালন করছি। আমরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে সে কথা প্রচার করব।” তাঁর কথায়, “বিহারের সব রাস্তায় আমাদের উপস্থিতি প্রমাণ করব।” বিজেপি যে কাল পূর্ণ শক্তি নিয়ে রাস্তায় নামবে, তার প্রমাণ আজই মিলেছে। বনধ সফল করতে আজ পটনায় ‘রোড শো’ করেন সুশীল মোদী। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতারা। জেডিইউয়ের জন্যই যে তাঁদের জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়েছে, তা রোড শো থেকে প্রচার করেছেন সুশীল মোদীরা। মঙ্গল পাণ্ডে জানান, বন্ধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে ট্রেন ও ছোট বাহনকে।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, সাধারণ দিনে পটনার আইনশৃঙ্খলা মোকাবিলায় হাজার খানেক পুলিশ রাস্তায় থাকে। কাল সে সংখ্যাটা দ্বিগুণ করা হচ্ছে। এমনকী বিপুল সংখ্যক বনধ সমর্থককে গ্রেফতার করতে হতে পারে, এই আন্দাজেই কাল বিশেষ জেলের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। শুধু পটনাতেই পাঁচটি স্কুলে এ রকম বিশেষ জেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিপুল সংখ্যক মিলিটারি পুলিশকেও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। পটনার সিনিয়র পুলিশ সুপার মনু মহারাজ বলেন, “ঝুঁকি নিচ্ছি না। কাল সব গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতেই অনেক পুলিশ রাখা হবে।” রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) এস কে ভরদ্বাজ বলেন, “এসপিদের সতর্ক থাকতে এবং সব ঘটনার ভিডিও করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
|
|
|
|
|
|