এ বার ‘কুইক সার্ভিস রেস্টোর্যান্ট’ (কিউএসআর) বা চটজলদি খাবারের রেস্তোরাঁর তালিকায় ঢুকল বাঙালি থালি। পাইস হোটেলের নস্টালজিয়া কাটিয়ে ব্র্যান্ডেড বাঙালি খাবারের রেস্তোরাঁর বাজার তৈরি হয়েছে আগেই। এ বার আর এক ধাপ এগিয়ে ব্র্যান্ডেড বাঙালি খানার থালি রেস্তোরাঁ।
শুক্তো, শাক থেকে মাছ-মাংস হয়ে চাটনি, মিষ্টি। অফিসের দিনেও টিফিন টাইমে রবিবারের মেনু। রসনাপ্রিয় বাঙালির মধ্যবিত্ত পকেটের দিকে নজর রেখেই বাঙালি খাবারের থালি। আগামী পাঁচ মাসে সিক্স বালিগঞ্জ প্লেস আনছে ৫০ আসনের পাঁচটি এই থালি রেস্তোরাঁ। সংস্থার কর্ণধার এস রামানির দাবি, প্রতিটি রেস্তোরাঁয় দৈনিক ২ হাজার থালি বিক্রি হবে। তিনি বলেন, “দাম ও মানের টানেই এই থালি কিনবেন ক্রেতারা। সঙ্গে থাকছে ব্র্যান্ড-নাম। উত্তর ভারতের মতোই এখানে জনপ্রিয় হবে থালি।”
প্রাথমিক লগ্নির পরিমাণ ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। তবে আগামী তিন বছরে থালি রেস্তোরাঁ থেকে ১৫ কোটি টাকা ব্যবসা করার আশা রাখছেন রামানি।
লগ্নি টানার দৌড়ে বড় রেস্তোরাঁদের অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছে চটজলদি খাবারের রেস্তোরাঁ। চটজলদি লাভের দিকে চোখ রেখেই এই ব্যবসায়ে টাকা ঢালছে দেশি-বিদেশি সংস্থা। সিক্স বালিগঞ্জ প্লেস-এর মতোই এই ব্যবসায়ে ঝাঁপিয়েছে রাজ্যের অন্যান্য সংস্থা।
নয়া ব্র্যান্ড ‘লাজিজ’-এর হাত ধরে এই ব্যবসায় নামছে সিরাজ রেস্তোরাঁ। কিউএসআর মডেল অনুসরণ করে দেশে ১০টি শহরে চালু হচ্ছে এই ব্র্যান্ডের ১৬২টি রেস্তোরাঁ। একই পথে হাঁটছে শহরের আর এক রেস্তোরাঁ সংস্থা স্পেশালিটি রেস্টোর্যান্টস। সংস্থার সম্প্রসারণ পরিকল্পনার সিংহভাগ জুড়েই রকিউএসআর মডেল। কর্ণধার অঞ্জন চট্টোপাধ্যায় জানান, বিদেশি ব্র্যান্ড নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করবেন তারা। পরিবর্তিত জীবনধারা ও ব্যবসায়িক হিসেবে ভর করেই বাড়ছে চটজলদি খাবারের রেস্তোরাঁ ব্যবসা। টেকনোপ্যাক-এর সমীক্ষা বলছে আগামী ৫ পাঁচ বছরে তা ২২% হারে বাড়বে। ভারতে রেস্তোরাঁ ব্যবসার অঙ্ক এখন ৪৫ হাজার কোটি টাকা। যার ৭% কিউএসআরের দখলে। সংশ্লিষ্ট শিল্পমহলের মতে ম্যাকডোনাল্ডস ও কেএফসি-র মতো বিদেশি ব্র্যান্ডের সৌজন্যেই এই ব্যবসা লাফিয়ে বেড়েছে। ২০১৫-র মধ্যে ভারতে ম্যাক খুলবে নতুন ২৫০টি রেস্তোরাঁ। ডমিনোজ খুলবে আরও ২৭০টি। সাবওয়ে-র পরিকল্পনায় রয়েছে ৭০০-র বেশি নয়া বিপণি। |