রাজ্যের নির্দেশের পরেও মালদহ জেলা পরিষদে ৯টি আসনে তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এল। এতে অস্বস্তিতে মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। শনিবার মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষ দিনে তৃণমূলের জেলা পরিষদের ১৬ গোঁজ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেও ৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। এতে জেলা পরিষদে ৩৮ আসনের ৯ আসনে বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থীদের লড়াই করতে হবে। রবিবার তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী, মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র এবং জেলা তৃণমূলের আহ্বায়ক তথা রাজ্যের পযর্টন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। তাঁরা বলেন, “দলের সরকারি প্রার্থীর বিরুদ্ধে জেলা পরিষদের দলের যাঁরা মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তাদের বেশির ভাগই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। |
সংঘর্ষে জখম তৃণমূল সমর্থককে দেখতে রবিবার দিনহাটা
হাসপাতালে গৌতম দেব ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।—নিজস্ব চিত্র। |
সময়মত জেলা পঞ্চায়েত দফতরে না পৌঁছনোর জন্য যাঁরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারেননি, তাঁরা সকলেই নিবার্চন থেকে সরে আসার কথা ঘোষণা করেছেন। তাঁরা প্রচারপত্র বিলি করে দলীয় প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আবেদন করবেন।” দলের নির্দেশ না মানলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা রাজ্য নেতৃত্বই ঠিক করবেন বলে সাবিত্রীদেবী জানান। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলা পরিষদের ৩৮ আসনে সাবিত্রী মিত্র ও কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর তৈরি করা তালিকা অনুসারে সব আসনে দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন দেন। সে তালিকায় ইংরেজবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকারের ৫ অনুগামী আছেন। জেলা পরিষদে তাঁর অনুগামীদের বেশি সংখ্যক প্রার্থী না করায় ২৫টি জেলা পরিষদের আসনে মনোনয়ন জমা দেন দুলাল সরকার অনুগামীরা। কোন্দল মেটাতে মালদহে আসেন দলের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব ও দলের পর্যবেক্ষক মহুয়া মৈত্র। দুই তরফে বৈঠকে গোঁজ প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। ১৬ জন শনিবার মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও ৯ জন করেননি। বিষয়টি নিয়ে দুলালবাবুর সঙ্গে বহুবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। অনুগামীরা জানান, সময়মত দুলালবাবু যা বলার বলবেন। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে সাবিত্রীদেবী বলেন, “জেলায় ২২৮১ পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ২৬টি আসনে তৃণমূল প্রার্থী দিতে পারেনি। আর পঞ্চায়েত সমিতিতে ৪২৩টির মধ্যে ৩টি আসনে আমরা প্রার্থী দিতে পারেনি। কংগ্রেস সর্বত্র সন্ত্রাসের চেষ্টা করছে।” |