যানজট, নিকাশি সমস্যায় দৈনন্দিন যন্ত্রণা বাজারে
শ্রমপাড়া আর হায়দারপাড়ার মধ্যে দিয়ে চলে গিয়েছে হায়দারপাড়া মেন রোড। রাস্তাকে কেন্দ্র করেই পরপর চারটে গলির মাথার কিছুটা অংশ নিয়ে শিলিগুড়ির হায়দারপাড়া বাজার। শহরের অন্যতম পুরোনো বাজার হলেও পার্কিংয়ের সমস্যার কারণে যানজটে জেরবার হতে হয় প্রতিদিন বাজার করতে আসা প্রায় পাঁচ হাজার মানুষকে। তার উপরে বর্ষায় বাজার জুড়ে কাদা মেখে বাজার করার নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় নিত্য বাজারকারীদের। বেহাল অবস্থায় মুরগির বাজারেরও। অবস্থা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল এলাকার কাউন্সিলর তথা শিলিগুড়ি পুরসভার অন্যতম মেয়র পারিষদ মেয়র দেবশঙ্কর সাহা। তিনি নিজেও পার্কিং সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নিতে চান বলে জানালেও এখনও অবশ্য কোনও ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারেননি।
কাউন্সিলর বলেন, “ঘিঞ্জি বাজারকে যানজট মুক্ত করতে একটি আলাদা পার্কিং জোন করার কথা ভাবছি। বাজারের সামনে একটি ক্লাবের কর্তাদের সঙ্গে এই বিষয়ে প্রাথমিক কথাও বলা হয়েছে। যানজট সমস্যা মেটাতে বাজারের রাস্তা চওড়া করা হয়েছিল। কিন্তু সচেতনতার অভাবে চওড়া রাস্তাতেও জায়গা সংকুলান হচ্ছে না।”
বাসিন্দারা জানান, সব্জি, ফল, মাছ ও মুরগির আলাদা বাজার থাকলেও প্রতিটি বাজারই ঘিঞ্জি। কোনরকম পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। রাস্তার উপরে গাড়ি, বাইক, সাইকেল দাঁড় করিয়ে বাজার করতে হয়। প্রতিদিন ঝগড়া-মারামারি লেগে থাকে। তার উপরে সবজি বাজারের বর্জ্য রাস্তায় পড়ে থাকে। তাতেও অনেকটা জায়গা নষ্ট হয়। ফলে সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত দুষ্কর হয়ে পড়ে। এলাকার এক ব্যবসায়ী গোবিন্দ পাল অভিযোগ করেন, “রাস্তায় জায়গা না থাকায় পথচারীদের সঙ্গে রোজই ঝামেলা লেগেই থাকে।”
ব্যবসায়ীরা জানান, মুরগির বাজারের চাল ফুটো হয়ে জল পড়ে প্রতি বর্ষায়। কোনও সমাধান হয়নি। দেবশঙ্করবাবুও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। মুরগির বাজারের সমস্যাটা অবশ্য প্রতি বছরের বলে দাবি করেন দেবশঙ্করবাবু। তিনি বলেন,“প্রতি বছরই সমস্যা হয়। তারপর মেরামতও করে দেওয়া হয়।”
হায়দারপাড়ার মাছ বাজারটিও অত্যন্ত অপরিসর। একসঙ্গে বেশি লোক বাজার করতে গেলে ধাক্কাধাক্কি করে বাজার করতে হয়। বাজার তৈরির সময় পরিকল্পনার ত্রুটি ছিল বলে মনে করছেন মাছ ব্যবসায়ীদের একাংশ। দুপাশের বাঁধানো চাতালের মধ্যে জায়গা কম থাকায় সমস্যা রয়েছে। যদিও মাছ বাজার এলাকাটি আর চওড়া করার উপায় নেই দু’দিকে ব্যাক্তি মালিকানাধীন এলাকা থাকায়। আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা স্বপন ঘোষ অভিযোগ করেন, “বাজারটি ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে হলেও আশপাশের আরও কয়েকটি ওয়ার্ড এমনকী হায়দারপাড়া সংলগ্ন পঞ্চায়েত এলাকার বহু মানুষের একমাত্র ভরসা।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.