পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বসিরহাট ও ক্যানিংয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষ অব্যাহত।
রবিবার দুপুরে তৃণমূল-সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে তপ্ত হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলার কালিকাতলা। আহত হন উভয় পক্ষের সাত জন। তাঁদের স্থানীয় মঠেরদিঘি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় রাত পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে ছ’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, কালিকাতলা পঞ্চায়েতের তিন নম্বর আসনে তাঁদের প্রার্থী ছায়েদা মোল্লার স্বামী আয়ুব মোল্লাকে তৃণমূলের লোকজন তাঁদের দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারের জন্য হুমকি দেয়। আয়ুব তা করতে অস্বীকার করায় তাঁকে মারধর করা হচ্ছিল। সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, আয়ুব এ দিন দলের বিরুদ্ধে কটূক্তি করেন। তারই প্রতিবাদ করেন তৃণমূল সমর্থকেরা। এরপর সিপিএম সমর্থকেরাই তাঁদের উপর চড়াও হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় জীবনতলা থানার পুলিশ।
ক্যানিং-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সওকত মোল্লা বলেন, “জন সমর্থন হারিয়ে সিপিএমের লোকজন আমাদের কর্মীদের আক্রমণ করছে। সিপিএমের হামলায় আমাদের তিন কর্মী আহত হন।” সিপিএমের জীবনতলা জোনাল কমিটির সদস্য মনোরঞ্জন দিয়াশীর পাল্টা অভিযোগ, “তৃণমূল নির্বাচনে লড়তে ভয় পাচ্ছে। তাই আমাদের দলীয় প্রার্থীদের বাড়ি গিয়ে হামলা করছে। তৃণমূলের মারে আমাদের চার কর্মী জখম হন।”
শনিবার সন্ধ্যায় হাড়োয়ার আকন্দবেড়িয়া গ্রামেও দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। জখম হন উভয় দলের আট জন। গুরুতর আহত ছ’জনকে কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিএম তাদের আকন্দবেড়িয়ায় প্রচার করতে বাধা দেয়। দলীয় সমর্থকেরা প্রতিবাদ করায় তাঁদের উপর লাঠি, রড নিয়ে হামলা চালায় সিপিএম। হেনস্থা করা হয় দলের জেলা পরিষদের প্রার্থী সাকিলা খাতুন এবং পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী আব্দুল খালেক মোল্লাকে। অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের পাল্টা দাবি, মোটরবাইকে করে এসে দলীয় পতাকা ছিঁড়ছিল তৃণমূল সমর্থকেরা। সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়। |