দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র খুনের ঘটনায় ধৃত তিন জনকে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল কৃষ্ণনগর আদালত।
কৃষ্ণগঞ্জ অনিল স্মৃতি হাইস্কুলের মৃন্ময় সিংহ নামে ওই ছাত্রকে শুক্রবার রাতে কৃষ্ণগঞ্জ এলাকায় কুপিয়ে খুন করা হয়। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে শনিবার সত্যনগরের বাসিন্দা সুখেন ভদ্র নামে এক যুবক এবং মৃণ্ময়ের দুই বন্ধু, কৃষ্ণগঞ্জের সুমন্ত ঘোষ এবং অঞ্জন সরকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার ধৃতদের কৃষ্ণনগর আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (স্পেশ্যাল) সুপর্ণা দত্তের এজলাসে হাজির করানো হয়। বিচারক তিন জনকেই দু’দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। ছাত্র খুনের প্রতিবাদে কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিস মোড়ে কালো ব্যাজ পরে এ দিন সভা করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। |
নদিয়ার ডিএসপি (সদর) দিব্যজ্যোতি দাস বলেন, “ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই ছাত্রকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ধৃতদের জেরা করে অস্ত্রটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। কী কারণে ওই ছাত্রকে খুন করা হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তদন্তকারীদের অনুমান, গোটা ঘটনার পিছনে মহিলাঘটিত কারণ থাকতে পারে। রাজনৈতিক কারণে খুন নয় বলে তাঁরা জানান।
মৃন্ময়ের বাড়ি কৃষ্ণগঞ্জেই। শুক্রবার রাতে তার দাদা তন্ময়ের সঙ্গে বচসা বাধে সুখেন ভদ্রের। খবর পেয়ে সেখানে যায় মৃন্ময়। পরিবারের দাবি, প্রাথমিক ভাবে গণ্ডগোল মিটে গেলেও সুখেন মৃন্ময়কে আবার ডেকে পাঠায়। মৃন্ময় তার দুই বন্ধু সুমন্ত ঘোষ এবং অঞ্জন সরকারের সঙ্গে মোটরবাইকে চেপে সুখেনের সঙ্গে দেখা করতে যায়। অভিযোগ, রাত পৌনে একটা নাগাদ সুখেন মৃন্ময়কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায়। রক্তাক্ত অবস্থায় কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃন্ময়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় লাগে রাজনৈতিক রঙ। মৃন্ময়ের বাবা মধুসূদনবাবু সুখেন, অঞ্জন এবং সুমন্তের বিরুদ্ধে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। |