|
|
|
|
হাত চিহ্নেই ভোট যুদ্ধে এবিজি-র কাজহারারা |
দেবমাল্য বাগচি • হলদিয়া |
কাজ হারিয়ে পথে বসেছেন আগেই। চলছে জীবন-সংগ্রাম। তারই মধ্যে অন্য লড়াইয়ে নামলেন এবিজির কাজহারা শ্রমিকেরা ভোট ময়দানে পঞ্চায়েতের লড়াই।
এবিজি-র কর্মচ্যুত শ্রমিকদের তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ কাজে লাগাতে আগেই আসরে নেমেছিল কংগ্রেস। এ বার ওই শ্রমিকদের পঞ্চায়েতে প্রার্থী করতেও দ্বিধা করেননি নেতৃত্ব। হাত চিহ্ন নিয়েই ভোটে লড়ছেন এবিজি-র কাজহারা শ্রমিক শেখ জাইদুল ইসলাম এবং শেখ হামেদ আলি। জাইদুল প্রার্থী হয়েছেন সুতাহাটা এলাকার হোড়খালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আসনে। আর হামেদ আলি ওই ব্লকেরই মনোহরপুর ১২ নম্বর আসন থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
গত অক্টোবরে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের বিরুদ্ধে ‘জঙ্গি আন্দোলনে’র অভিযোগ তুলে হলদিয়া বন্দর ছাড়ে স্বয়ংক্রিং পদ্ধতিতে পণ্য খালাসকারী সংস্থা এবিজি। কাজ হারান ৩৪৮ জন শ্রমিক। তারও আগে সেপ্টেম্বরে শাসকদলের চাপে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগের অভিযোগ তুলে ২৭৫ জনকে ছাঁটাই করেন এবিজি কর্তৃপক্ষ। ছাঁটাই শ্রমিকেরা তৃণমূলের নেতৃত্বে এবিজি-র বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে। আর কর্মচ্যুত ৩৪৮ জন তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুতাহাটার নন্দরামপুরে লাগাতার বিক্ষোভ চালাতে থাকে। সেই সময়ই এই শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছিল কংগ্রেস।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কণিষ্ক পণ্ডা বলেন, “হলদিয়া শিল্পাঞ্চল কার্যত বন্ধ হওয়ার মুখে। তৃণমূল এখানে সমাজবিরোধী গড়ার কারখানা খুলেছে। ওরা এবিজির শ্রমিকদের পাশেও দাঁড়ায়নি। আমরা ওই শ্রমিকদের সঙ্গে আছি।” |
|
কংগ্রেসের প্রচারে এবিজি-র শ্রমিকেরা।—নিজস্ব চিত্র। |
তবে এ সবে একেবারেই আমল দিতে চান না তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন। তাঁর মতে, “শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে দল এগিয়ে চলেছে। সেখানে ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রচার নির্বাচনের ফলে প্রভাব ফেলতে পারবে না।” কাজহারাদের প্রচারেও এবিজি প্রসঙ্গ। এবিজির ইউনিফর্ম পরেই সুতাহাটায় প্রচার চালাচ্ছেন শ্রমিক-প্রার্থীরা। কংগ্রেসের অন্য প্রার্থীর সমর্থনেও হলদিয়ার এই এলাকায় ডোরাকাটা গোলাপি জামা আর কালো প্যান্ট পড়ে প্রচার চালাচ্ছেন কাজহারারা। জাইদুলের কথায়, “আমাদের এই বেকারত্বের জন্য যারা দায়ী, তারা গ্রামের কল্যাণ করতে পারে না। তাই সহকর্মীদের কথায় ভোটে দাঁড়িয়েছি।” তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী জেলা পরিষদের প্রাক্তন স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হাসান। তিনি গত বার এই এলাকা থেকেই জিতেছিলেন। জয় কি সম্ভব? জাইদুল বলছেন, “হার-জিত নিয়ে ভাবছি না। হারানোর আর কী বাকি আছে!”
সুতাহাটা এলাকায় বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীদের নিয়েও যথেষ্ট বিড়ম্বনায় তৃণমূল। ওই পঞ্চায়েত সমিতি থেকেই দলের প্রতীক না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন জাহাঙ্গির আলম মল্লিক। তিনি বলেন, “সুতাহাটায় এবিজি কর্মীদের প্রচারের ফলে তৃণমূলকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে।” তবে তাঁর দাবি, রফিকুল হাসান ও শেখ জাইদুলের জামানত জব্দ হবে। একই ভাবে ৬ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতেও তৃণমূল প্রার্থী অমিয় দাসের সঙ্গে একই আসনে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূলেরই সুধাংশু শেখর ধাড়া এবং সুদর্শন পতি।
আবার সুতাহাটার ২৪ নম্বর জেলা পরিষদের আসনে কমলেশ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য জয়দেব মাইতি। তার জেরে ক্ষোভ নিয়েই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য আনন্দময় অধিকারী। এ ছাড়াও বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত আসনেও দেখা গিয়েছে একই চিত্র।কাজ হারিয়ে পথে বসেছেন আগেই। চলছে জীবন-সংগ্রাম। তারই মধ্যে অন্য লড়াইয়ে নামলেন এবিজির কাজহারা শ্রমিকেরা ভোট ময়দানে পঞ্চায়েতের লড়াই।
এবিজি-র কর্মচ্যুত শ্রমিকদের তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ কাজে লাগাতে আগেই আসরে নেমেছিল কংগ্রেস। এ বার ওই শ্রমিকদের পঞ্চায়েতে প্রার্থী করতেও দ্বিধা করেননি নেতৃত্ব। হাত চিহ্ন নিয়েই ভোটে লড়ছেন এবিজি-র কাজহারা শ্রমিক শেখ জাইদুল ইসলাম এবং শেখ হামেদ আলি। জাইদুল প্রার্থী হয়েছেন সুতাহাটা এলাকার হোড়খালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আসনে। আর হামেদ আলি ওই ব্লকেরই মনোহরপুর ১২ নম্বর আসন থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
গত অক্টোবরে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের বিরুদ্ধে ‘জঙ্গি আন্দোলনে’র অভিযোগ তুলে হলদিয়া বন্দর ছাড়ে স্বয়ংক্রিং পদ্ধতিতে পণ্য খালাসকারী সংস্থা এবিজি। কাজ হারান ৩৪৮ জন শ্রমিক। তারও আগে সেপ্টেম্বরে শাসকদলের চাপে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগের অভিযোগ তুলে ২৭৫ জনকে ছাঁটাই করেন এবিজি কর্তৃপক্ষ। ছাঁটাই শ্রমিকেরা তৃণমূলের নেতৃত্বে এবিজি-র বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে। আর কর্মচ্যুত ৩৪৮ জন তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুতাহাটার নন্দরামপুরে লাগাতার বিক্ষোভ চালাতে থাকে। সেই সময়ই এই শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছিল কংগ্রেস।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কণিষ্ক পণ্ডা বলেন, “হলদিয়া শিল্পাঞ্চল কার্যত বন্ধ হওয়ার মুখে। তৃণমূল এখানে সমাজবিরোধী গড়ার কারখানা খুলেছে। ওরা এবিজির শ্রমিকদের পাশেও দাঁড়ায়নি। আমরা ওই শ্রমিকদের সঙ্গে আছি।”
তবে এ সবে একেবারেই আমল দিতে চান না তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন। তাঁর মতে, “শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে দল এগিয়ে চলেছে। সেখানে ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রচার নির্বাচনের ফলে প্রভাব ফেলতে পারবে না।”
কাজহারাদের প্রচারেও এবিজি প্রসঙ্গ। এবিজির ইউনিফর্ম পরেই সুতাহাটায় প্রচার চালাচ্ছেন শ্রমিক-প্রার্থীরা। কংগ্রেসের অন্য প্রার্থীর সমর্থনেও হলদিয়ার এই এলাকায় ডোরাকাটা গোলাপি জামা আর কালো প্যান্ট পড়ে প্রচার চালাচ্ছেন কাজহারারা। জাইদুলের কথায়, “আমাদের এই বেকারত্বের জন্য যারা দায়ী, তারা গ্রামের কল্যাণ করতে পারে না। তাই সহকর্মীদের কথায় ভোটে দাঁড়িয়েছি।” তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী জেলা পরিষদের প্রাক্তন স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হাসান। তিনি গত বার এই এলাকা থেকেই জিতেছিলেন। জয় কি সম্ভব? জাইদুল বলছেন, “হার-জিত নিয়ে ভাবছি না। হারানোর আর কী বাকি আছে!”
সুতাহাটা এলাকায় বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীদের নিয়েও যথেষ্ট বিড়ম্বনায় তৃণমূল। ওই পঞ্চায়েত সমিতি থেকেই দলের প্রতীক না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন জাহাঙ্গির আলম মল্লিক। তিনি বলেন, “সুতাহাটায় এবিজি কর্মীদের প্রচারের ফলে তৃণমূলকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে।” তবে তাঁর দাবি, রফিকুল হাসান ও শেখ জাইদুলের জামানত জব্দ হবে। একই ভাবে ৬ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতেও তৃণমূল প্রার্থী অমিয় দাসের সঙ্গে একই আসনে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূলেরই সুধাংশু শেখর ধাড়া এবং সুদর্শন পতি।
আবার সুতাহাটার ২৪ নম্বর জেলা পরিষদের আসনে কমলেশ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য জয়দেব মাইতি। তার জেরে ক্ষোভ নিয়েই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য আনন্দময় অধিকারী। এ ছাড়াও বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত আসনেও দেখা গিয়েছে একই চিত্র। |
|
|
|
|
|