|
|
|
|
নারায়ণগড়ে ভোট-প্রচারে সূর্যকান্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দল না দেখে মানুষের কাছে যাওয়ার জন্য দলীয় কর্মীদের পরামর্শ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। রবিবার নারায়ণগড়ে দু’টি কর্মীসভা করেন সূর্যকান্তবাবু। সকালে বেলদায় কর্মিসভা হয়। সেখানে বিরোধী দলনেতা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ প্রবোধ পান্ডা, সিপিএম নেতা ভাস্কর দত্ত প্রমুখ। রবিবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নারায়ণগড়ে এসে সূর্যকান্তবাব বলেন, “প্রত্যেক মানুষের কাছে গিয়ে তাদের কথা শুনতে হবে। কে কোন দল করেন, তা না দেখে সতর্ক ভাবে এগোন। যাঁরা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা ফিরে আসছেন।” পাশাপাশি, যাঁরা কখনও বামফ্রন্টের সঙ্গে ছিলেন না, তাঁদের একাংশও পরিস্থিতি দেখে ফ্রন্টের দিকে আসছেন বলে দাবি করেন তিনি।
পশ্চিম মেদিনীপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচন আগামী ২ জুলাই। তার আগে সব দলই জোর কদমে প্রচার শুরু করেছে। বিকেলে নারায়ণগড়ের সভায় গণতন্ত্রকে রক্ষা করার ডাক দিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, “তৃণমূল গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা করলেও তা পারবে না। যে করেই হোক গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে। সাইকেল শিখতে গেলে যেমন দু’বার চোট পেতে হয়, তেমন গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে গিয়েও আমরা চোট পেয়েছি। সন্ত্রাস দিয়ে মানুষকে রোখা যাবে না। মানুষ আবার আমাদের কাছে ফিরে আসবেন।” তিনি আরও বলেন, “পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। সরকার মানুষকে ভয় পাচ্ছে বলেই এত বাধা আর এত আক্রমণ। তবে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন, আপনারা ভয় না পেয়ে পথে নামুন।”
মনোনয়ন পর্বের পর কেশপুর-গড়বেতার মতো এলাকায় সিপিএমকে যেখানে দূরবীন দিয়ে খোঁজার মতো অবস্থা, সেখানে নারায়ণগড়ে জেলার অনান্য ব্লকের থেকে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো। এখানে গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে তৃণমূল যেখানে ২২২টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে, সেখানে সিপিএম দিয়েছে ১৭১টি। সিপিআই জমা দিয়েছে ১৭টি মনোনয়ন। সব মিলিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী রয়েছেন ৫৩১ জন। প্রায় একই ছবি পঞ্চায়েত সমিতির আসনের ক্ষেত্রেও। পঞ্চায়েত সমিতির আসনে তৃণমূল যেখানে ৪৭টি মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে, সেখানে সিপিএম ৪১টি ও সিপিআই ৪টি মনোনয়ন জমা দিয়েছে।
সভায় সরকারের সাফল্যের প্রচারকে কটাক্ষ করে সূর্যকান্তবাবু বলেন, “আমরা যখন সরকারে থাকার সময় সব কাজ হয়ে গিয়েছে বলে কখনও দাবি করিনি। আমাদের সরকারের সাফল্য যেমন রয়েছে, ব্যর্থতাও তেমন রয়েছে। আর উনি (মুখ্যমন্ত্রী) বলছেন, সব কাজ হয়ে গিয়েছে।” অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে বামফ্রন্টকে রোখা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন সূর্যকান্তবাবু। তাঁর কথায়, “মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছেন।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিকল্প ফ্রন্ট গড়ার ডাক দিয়েছেন, তা নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। তাঁর কথায়, “ওটা নকল ফ্রন্ট।” এক ধাপ এগিয়ে সাংসদ প্রবোধ পণ্ডা বলেন, “সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন হলে ও মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে তৃণমূল নির্মূল হয়ে যাবে। কারণ, মানুষ ওদের কাজকর্মে বিরক্ত।” |
|
|
|
|
|