|
|
|
|
শ্রমিকদের সংগঠিত করার ডাক তৃণমূলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সমস্ত অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের সংগঠিত করার ডাক দিলেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, শুধু সংগঠিত করা নয়, প্রত্যেক শ্রমিককে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের মধ্যেও নিয়ে আসতে হবে।
আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত বাস পরিবহণ শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে শনিবার মেদিনীপুর শহরে এক সম্মেলন হয়। সমমনোভাবাপন্ন কয়েকটি সংগঠনও এতে যোগ দেয়। শহরের বিদ্যাসাগর হলে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। পরে গাঁধীমূর্তির পাদদেশে প্রকাশ্য সভা হয়।
তৃণমূলের মুখ্য সচেতক তথা শ্রমিক নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মৃগেন মাইতি, পুরপ্রধান প্রণব বসু, বাস পরিবহণ শ্রমিক সংগঠনের নেতা স্বাধীন দাস প্রমুখ। শোভনবাবুর কথায়, “রাজ্য সরকার শ্রমিকদের সুরক্ষা দিতে সচেষ্ট রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগী হয়েছেন। ইতিমধ্যে শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে। প্রত্যেক শ্রমিককে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। ন্যায্য দাবির ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক উপায় আন্দোলন চলবে।” শোভনদেববাবু দাবি করেন, “একশো দিনের কাজে রাজ্য এক নম্বরে। মাত্র এক বছরের মধ্যে ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এই রেকর্ড দেশের কোথাও নেই। দু’বছরে ৫১ হাজার পুকুর খনন হয়েছে। হাসপাতালগুলোয় ১০ হাজার শয্যা বৃদ্ধি হয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে যে কুৎসা এবং অপপ্রচার চলছে, রাজনৈতিক ভাবেই তার জবাব দিতে হবে।” জঙ্গলমহলের সমস্যার সমাধান হয়েছে জানিয়ে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করার ডাক দেন শোভনদেববাবু।
অসংগঠিত শ্রমিকদের সংগঠিত করার প্রসঙ্গে সামান্যই বলে সুব্রতবাবু চলে যান পঞ্চায়েত ভোটের প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, “সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চলছেই। ভারতবর্ষের কোন রাজ্যে আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে? পঞ্চায়েত নির্বাচন আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে হলে কার্গিলে যুদ্ধ করবে কে? বর্ডার দেখবে কে?” লোকসভা ভোটের প্রসঙ্গে গিয়ে সুব্রতবাবু দাবি করেন, “যত রিজিওনাল পার্টি আছে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে তাদের মধ্যে সব থেকে বেশি আসনে জিতবে তৃণমূল। কংগ্রেস-বিজেপি-র পরই সবথেকে বেশি আসন থাকবে তৃণমূলের।” |
|
|
|
|
|