|
|
|
|
অতিবৃষ্টিতে বেহাল দিল্লি বিমানবন্দর, নাকাল যাত্রীরা |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
এয়ারপোর্ট তো নয়, যেন সুইমিং পুল!
হাঁটুজল ভেঙে দিল্লির ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢোকার পর তীব্র বিরক্তি নিয়ে ওপরের টুইটটা করেছেন এক যাত্রী। বিমানবন্দরের দোরগোড়ায় তো বটেই, ঝাঁ চকচকে ৩ নম্বর টার্মিনালের ভেতরেও তখন থইথই করছে বৃষ্টির জল। চারটে ব্যাগেজ বেল্ট বন্ধ। অতএব মাল ওঠানামার কাজ চূড়ান্ত রকম ব্যাহত। আর বাইরে অঝোর বৃষ্টি। বিমানবন্দরে ঢোকা-বেরোনোর পথে যাত্রীরা প্রকাশ্যে যেমন বিরক্তি দেখিয়ে ফেলেছেন, তেমনই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সোশ্যাল সাইটে। একজন যেমন লিখেছেন, ‘একেবারে জঘন্য!’
আজ সত্যিই তুমুল বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে! বর্ষা এসেছে দিন পনেরো আগেই। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও আবহাওয়া দফতরের বক্তব্য, দিল্লি শহর এলাকায় আজ ৩৬.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও বিমানবন্দর এলাকায় সাড়ে চার ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১১৭.৮ মিলিমিটার! বিমানবন্দর-সূত্রে খবর, ওই এলাকা এমনিতেই নিচু। নিকাশি ব্যবস্থাও ভাল নয়। জল থইথই দশা এ সবেরই সম্মিলিত ফল।
|
|
জল থইথই দিল্লি বিমানবন্দর। চলছে টার্মিনাল ৩ পরিষ্কারের কাজ। রবিবার। ছবি: পিটিআই |
এই যুক্তিতে অবশ্য খুব একটা চিঁড়ে ভিজছে না। প্রথমত, রাজধানীর বিমানবন্দর বলে কথা। ২ কোটি ৫০ লক্ষ থেকে ৪ কোটি পর্যন্ত যাত্রী যাতায়াত করেন, এমন বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠর তকমা পেয়েছে দিল্লি বিমানবন্দর। উপরন্তু, ২০১০ কমনওয়েলথ গেমসের সময়ে তৈরি ৩ নম্বর টার্মিনালের আধুনিকতম সুযোগ-সুবিধে নিয়ে গোড়া থেকেই প্রচার হয়েছিল যথেষ্ট। বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম এই টার্মিনাল আক্ষরিক অর্থেই চোখধাঁধানো। ‘এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস মেট্রো’ ধরে যাত্রীরা সরাসরি পৌঁছে যেতে পারেন এই টার্মিনালে। সবই আছে। কিন্তু বিমানবন্দরে জল ঢোকা আটকানোর বা জল ঢুকতে শুরু করলে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার বন্দোবস্ত কেন নেই, সেই প্রশ্ন আজ কিন্তু উঠে গিয়েছে। বস্তুত, পরিষেবার ক্ষেত্রে দিল্লি বিমানবন্দরে ঘাটতির অভিযোগ আগেও তুলেছেন যাত্রীরা। ২০১১-র সেপ্টেম্বরে এক বার বেশি বৃষ্টি হওয়ায় প্রায় একই রকম পরিস্থিতি হয়েছিল। ফলে আজকের ঘটনা সেই পুরনো বিতর্ক আবার উস্কে দিয়েছে।
গর্বের এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস স্টেশনের সামনেটায় আজ ছিল জল থইথই। জল ঠেলে ঢুকতে হয়েছে যাত্রীদের। প্রতীক্ষা-লাউঞ্জেও জল। মালপত্র পৌঁছনোর কনভেয়ার বেল্টগুলো অচল থাকায় বিশেষত অভ্যন্তরীণ উড়ানে দিল্লি পৌঁছনো যাত্রীদের ভোগান্তি বেশি হয়েছে। জল বার করার কাজে যথেষ্ট খেটেছেন জরুরি পরিষেবার কর্মীরা। তবে সন্ধের আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ অবশ্য কোনও পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার কথা মানতে চাননি। এক কর্তার কথায়, “নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির জন্য আমরা পূর্ত দফতর ও পুরসভাকে অনেক বার চিঠি লিখেছি। পুরসভা কাজ শুরুও করেছে। আশা করি, ভবিষ্যতে পরিস্থিতি বদলাবে।” |
|
|
|
|
|