রাহুল-অনুগত কড়া নেতা জোশী বাংলার দায়িত্বে
শ্চিমবঙ্গে সংগঠনের দায়িত্ব তাঁর অন্যতম আস্থাভাজন নেতা সি পি জোশীর হাতে দিলেন রাহুল গাঁধী। পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটের আগে যে সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন পর সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সচিব করা হল রাজ্য কংগ্রেসের দুই নেতাকে। এঁদের মধ্যে এক জন হলেন, প্রদেশ কংগ্রেসের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর সরকার। দ্বিতীয় জন ফরাক্কার বিধায়ক মইনুল হক।
বিহারের সংখ্যালঘু নেতা শাকিল অহমেদ এত দিন কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের তরফে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে ছিলেন। গত লোকসভা ভোটের পর পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব পেয়ে শাকিল একটা সময় যেমন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুষ্ঠু জোট সম্পর্ক রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন, তেমনই তৃণমূল জোট ছাড়ার পর পাল্টা আক্রমণ করতেও ছাড়েননি। তবে শাকিল কিছুটা নরম স্বভাবের নেতা বলেই পরিচিত। রাজস্থানের প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সি পি জোশী কিন্তু কড়া লোক হিসেবেই পরিচিত।
এক নেতার কথায়, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে রাহুল গাঁধী বলেছিলেন, তৃণমূলের সঙ্গে জোট হবে কি হবে না, তা নিয়ে এখন থেকে ভাবার দরকার নেই। ক্ষমতাসীন তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে যেন রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব সর্বশক্তি দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে লড়েন, এবং তার পাশাপাশি ধারাবাহিক কর্মসূচি নেন। রাহুলের সেই কৌশলের রূপায়ণ যাতে যথাযথ হয়, অবধারিত ভাবেই তা সুনিশ্চিত করতে চাইবেন জোশী। ওই নেতার কথায়, পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বিহারের দায়িত্বও জোশীকে দিয়েছেন রাহুল। যার অর্থ তিনি চাইছেন, দুই রাজ্যেই কংগ্রেস যাতে লড়াই করে তার শক্তি বাড়াতে পারে।
হাইকম্যান্ডের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, “এর আগে জোশী রাজস্থানের প্রদেশ কংগ্রেস ছিলেন, তাই সাংগঠনিক সমস্যাগুলো বুঝবেন।” রাজ্য কংগ্রেসের কিছু নেতার ধারণা, জোশী দায়িত্ব পাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গে তাঁদের তৃণমূল-বিরোধী লড়াই জোরদার হবে।
এরই পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ থেকে দুই নেতাকে কেন্দ্রীয় সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইতিবাচক বলেই মনে করছেন রাজ্যের নেতারা। প্রণব মুখোপাধ্যায়-প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির পর এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গের কোনও নেতা কেন্দ্রীয় সংগঠনের দায়িত্ব পেলেন। দিল্লির রাজনীতিতে অবশ্য একেবারে আনকোরা নন শুভঙ্কর। অতীতে ছাত্র ও যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
তা ছাড়া ইদানিং যুব কংগ্রেসের সাংগঠনিক কিছু কর্মশালায় তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাহুল। অন্য দিকে মইনুল হক রাজ্যের দাপুটে সংখ্যালঘু নেতা বলে পরিচিত। কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু মহলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে রাজ্য নেতারা মনে করছেন।

পঞ্চায়েতে বরুণ কপ্টার-প্রচারে
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে তরুণ মুখ আনতে বরুণ গাঁধীকে আসরে নামাচ্ছে বিজেপি। এবং এ বারই প্রথম পঞ্চায়েতের মতো স্থানীয় স্তরের ভোটের প্রচারে হেলিকপ্টার ব্যবহার করবে তারা। ২৫ জুন জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি এবং বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে জনসভা করার কথা বরুণের। পরের দিন ২৬ জুন কলকাতার কোনও সভাকক্ষে দলের রাজ্য নেতা ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে বরুণের মোলাকাতের বন্দোবস্ত করার চেষ্টা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। গাঁধী পরিবারের তরুণ প্রজন্মের মুখ বরুণ সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি-র পর্যবেক্ষক হয়েছেন। বিবাহসূত্রে তিনি পশ্চিমবঙ্গের জামাতাও বটে। বিজেপি সূত্রের খবর, এই দিকগুলি বিবেচনা করেই বরুণকে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে নামানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করতে গিয়েই নিতে হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটে কপ্টার ব্যবহারের অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত। বরুণ একই দিনে উত্তর এবং দক্ষিণ দুই বঙ্গে দু’টি সভা করবেন। হেলিকপ্টারে না উড়লে যা সম্ভব নয়। সে জন্যই ঠিক হয়েছে, তিনি দিল্লি থেকে বাগডোগরা বিমানে আসবেন। তার পর সেখান থেকে কপ্টারে উড়ে যাবেন ধূপগুড়ি এবং পূর্বস্থলী।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.