|
|
|
|
গৃহবন্দি |
কেউ যাচ্ছেন সদ্যবিবাহিত স্ত্রীকে ফেলে রেখে। কেউ আবার ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে বিসর্জন দিয়ে।
বাংলা বিগ বস-এর ডেরায় হাজিরা দেওয়ার
জন্য তারকাদের এত মোহ কী কারণে?
লোনাভালাতে
বড়বাবুর ডেরায়
এক রাত কাটিয়ে খোঁজ নিলেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত |
মুম্বই থেকে লোনাভালার দূরত্ব মাত্র ১১১.৫ কিমি। শুনেছিলাম মুম্বইয়ের সব তারকারই নাকি লোনাভালাতে একটা করে ফার্মহাউস আছে। সপ্তাহের শেষে তাঁরা প্রায় গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যান সেখানে।
এই লোনাভালাতেই বিগ বস-এর বাড়ি। বড়বাবুর ডেরা যাকে বলে।
বৃষ্টিভেজা সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে যায়। আমাদের ইনোভা ছুটতে থাকে। পশ্চিমঘাট বেয়ে। কুয়াশার চাদর সরিয়ে। দু’কিলোমিটার লম্বা সুড়ঙ্গ ভেদ করে। সূর্যের আলো সেখানে পৌঁছায় না। কুচকুচে অন্ধকার চারদিকে। আর মায়াবী এক স্নিগ্ধতায় ভেজা কিছু বাতি। ঠিক তারার মতো সুড়ঙ্গের ছাদে।
গাড়ির চালক বলেছিলেন এই রাস্তায় রেডিয়োতে সিগন্যাল ধরে না। গানের সিডিও নেই তাঁর হাতের কাছে। থাকলে বলতাম, শোনাবেন, ‘কতটা পথ পেরোলে তবে পথিক বলা যায়...?’
সুড়ঙ্গ পেরিয়ে খানিক দূর যাওয়ার পরেই গাড়ির চালক মনে করিয়ে দিলেন খান্ডালার কথা। আর সঙ্গে সঙ্গে যেন কানে ভেসে উঠল ‘গুলাম’য়ের সেই গান, ‘আতি কেয়া খান্ডালা?’
গাড়ি চলতে থাকে। ঘেমে যাওয়া কাচের বাইরে তাকালেই দেখা যায় তার দিয়ে পাহাড় বাঁধা। তার মধ্যে দিয়ে মাঝে মাঝে খামখেয়ালি কিছু ঝরনা। জনবসতি বলতে মাঝে মধ্যে কিছু ভিলা। দূরে কিছু চিকির দোকান। ঠিক যেমন শক্তিগড়ের কাছে গেলে বিভিন্ন রকমের ল্যাংচার দোকান দেখতে পাওয়া যায়, সে রকমই লোনাভালাতে চিকির দোকানের সম্ভার। চিকি প্যালেস থেকে চিকি হাট যে দিকে দু’চোখ যায় সে দিকেই শুধু চিকির সাম্রাজ্য।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরে গাড়ি এসে থামল একটি সেটের সামনে। সেটটি ‘বিগ বস’-এর, যা ইটিভি বাংলায় সম্প্রচারিত হবে আজ থেকে। প্রযোজনায় এন্ডেমল । কালো উর্দি-পরা সিকিউরিটি এজেন্সির লোক বড় বড় ছাতা হাতে সেখানে দাঁড়িয়ে। এক এক করে সবাইকে নিয়ে যাওয়া হল একটা ঘরে।
না, এটি বড়বাবুর ডেরা নয়। ডেরাতে ঢোকার আগে একটি হল্টিং স্টেশন মাত্র। সেখানেই মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন। ভাত, ডাল, ফুলকপি ভাজা, এঁচোড়ের তরকারি (কেউ কেউ এটাকে কচি পাঁঠার ঝোল ভেবে বেশি করে নিচ্ছিলেন!), চিকেন কারি, দই আর মিষ্টি। |
বিগ বস-এর বাড়ি |
আর তার পরেই কাউন্টডাউন শুরু। ব্যাগপত্র তন্নতন্ন করে সার্চের সময় ক্রেডিট কার্ড থেকে বাড়ির চাবি, সানগ্লাস থেকে ঘড়ি, নয়া পয়সা থেকে মোবাইল ফোন সব কিছু হিসেব করে একটা লিস্ট বানানো হল। আর সেগুলো এক বিশাল প্যাকেট বন্দি করে রেখে দেওয়া হল ঘরের এক কোনায়।
পড়ে থাকল শুধু কিছু জামাকাপড়, সাবান, টুথপেস্ট, চিরুনি, ওষুধ। তাও আবার সেগুলো নিজের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া যাবে না। বড়বাবুর বাড়িতে ঢোকার কিছু ক্ষণ পরে উনি তা দয়া করে পাঠিয়ে দেবেন!
প্রথমে যতটা উত্তেজনা ছিল, সেটা একটু একটু করে থিতিয়ে যাচ্ছিল। বলা হয় সাংবাদিকের তো ২৪X৭ চাকরি। যেখানে তাঁর নিত্য সঙ্গী কলম, ল্যাপটপ, আইপ্যাড, মোবাইল ফোন। এগুলো তো প্রায় সিস্টেমের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। এগুলো ছাড়া থাকাটা...
তার পর এক এক করে চোখ বেঁধে বিগ বস-এর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পালা। বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে আবার একপ্রস্ত চেকিং। বিমানবন্দর, মল বা সিনেমা হলে অনেক বার সিকিউরিটি চেক দেখেছি। কিন্তু এ ভাবে শরীরের বিভিন্ন জায়গা স্পর্শ করে চেকিং করতে কোনও দিন দেখিনি কাউকে!
কারও জিন্সের পকেটে হয়তো একটা টাকা পড়ে রয়েছে ভুল করে। সঙ্গে সঙ্গে সিকিউরিটি অ্যালার্ট। বলে উঠলেন : ‘আমি কিন্তু শার্লিন চোপড়ার বেলাতেও সব কিছু চেক করে বের করে দিয়েছিলাম’। কেউ বোধহয় পাশ থেকে ইশারা করল যে এত কড়াকড়ি না করলেও চলবে।
ওয়াকি-টকিতে আবার কাউন্টডাউন শুরু। আর তার পর চিচিং-ফাঁকের মতো একটা দরজা খুলে গেল। আজব দুনিয়ায় প্রবেশ। তবে বলে রাখা ভাল যে হিন্দি বিগ বস-এর সেটের সঙ্গে এটাকে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়। ওখানে এখন কন্নড় বিগ বস-এর শু্যটিং চলছে। ঢুকেই একটা মিনি সুইমিং পুল। তার ঠিক ডান দিকে ওয়াশরুম। বাগান পেরিয়ে কয়েক পা এগোলেই সেই বিগ বস-এর বাড়ি। ঢোকার আগে বাঁ দিকে একটা জিম এরিয়া। কিছুটা ওয়েটস রাখা, আর একটা জিম করার সাইকেল।
ঘরে ঢুকে প্রথমেই যেটা চোখে পড়ল তা হল একটা ছবি আর একটা কাটআউট। ডান দিকে, ঠিক কনফেশন রুমের সামনের দেওয়ালে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটা ছবি। আর বাঁ দিকে, ঠিক গ্যাস ওভেনের কাছে একটা কাতলা মাছের কাটআউট! দেখেই মনে হল যেন ‘গভীর জলের ফিশ’! বাড়ি ভর্তি ছড়িয়ে ছিটিয়ে কলকাতার ছাপ। কোথাও শহিদ মিনারের ছবি তো কোথাও সায়েন্স সিটির, কোথাও যামিনী রায়ের অনুকরণে পেন্টিং তো কোথাও দেওয়াল জুড়ে খাঁচা থেকে উড়ে-যাওয়া পাখির ছবি!
আর যে দিকেই চোখ যায়, সেখানেই শুধু ক্যামেরা। এমনকী যেগুলোকে দেখে মনে হচ্ছে আয়না, সেগুলোর পিছনেও আসলে রাখা রয়েছে গুপ্ত লেন্স! প্রাইভেসি শব্দটা যেন নিমেষের মধ্যে নিজেদের ডিকশনারি থেকে বাতিল হয়ে গেল।
চারদিকে ঝলমল করছে আলো। নিয়ন রঙের সব আসবাব। আর তার উপর জোরালো সাদা আলো। কিছু ক্ষণ তাকিয়ে থাকলে চোখে কষ্ট হয়। শেডস পরে থাকলে হয়তো খানিকটা সামলানো যেত। কিন্তু সেই সৌভাগ্য কোথায়? শেডস/সানগ্লাস সব তো আগেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
তীর্থের কাকের মতো সবাই চা চাইছে। ক্যামেরাগুলোর সামনে গিয়ে আর্জি জানিয়ে আসছে। কিন্তু বিগ বসের তা নিয়ে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। কেউ ক্লান্ত হয়ে হয়তো বেডরুমে গিয়ে শুয়েছে। অমনি বিগ বস কুকুরের ডাক চালিয়ে দিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন!
আর তা শুনে তাড়াতাড়ি উঠে পড়তেই হবে। ওই আলো, তার সঙ্গে কুকুরের ডাক। কার সাধ্যি আছে সেটা হজম করার?
কাজ বলতে সত্যি কিছু করার নেই। বসে গল্প করো। আড্ডা দেওয়া যায়। কিন্তু সেনসর্ড আড্ডা হলেই ভাল। না হলে ক্যামেরা সব ধরে ফেলবে। তার উপর গলায় একটা দামি ল্যাপেল ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পইতের মতো। যাতে প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাসও রেকর্ড করা যায়। একমাত্র বাথরুমের ভিতর আর ঘুমের সময় ওই ল্যাপেলটা খুলে রাখার নিয়ম। তা ছাড়া একেবারে চুম্বকের মতো গায়ে লাগিয়ে রাখতে হয়!
|
বিগ বস-এর বেডরুম |
বিগ বস-এর কিচেন আর ডাইনিং রুম |
|
ছোট্ট ছোট্ট বাথরুমে তো আর বেশি ক্ষণ কাটানো যায় না। আর শোওয়ার নিয়ম দিনে মাত্র এক বার। যখন বাড়ির আলো নেভানো হবে! অগত্যা শুধুমাত্র বসে থাকো। আর প্রয়োজন হলে স্মোকিং জোনে গিয়ে কিছু সুখটান দেওয়া।
বাইরে বাগানে গিয়ে যে দু’দণ্ড সময় কাটানো যাবে, তারও কোনও উপায় নেই। সারা দিন অবিশ্রান্ত বৃষ্টি। ভেতরে কনকনে এসি। এ যেন শাঁখের করাত।
সময়ের কোনও আন্দাজই নেই ঘরের ভেতর। মেঘলা বলে এটাও বোঝা শক্ত যে কত ক্ষণে ওখানে সন্ধে নামছে। বাইরের দেওয়ালটা বেশ উঁচু। আর তার চার দিকে তারকাঁটা লাগানো। কেউ যদি
বীতশ্রদ্ধ হয়ে পালিয়ে যেতে চায়, তাও সম্ভব নয়।
বাগানের এক কোণে পা একটু উঁচু করে দাঁড়ালেই দূরে একটা পাহাড় দেখা যায়। আর একটা চঞ্চল ঝরনা। ভোরবেলায় সেই দৃশ্য বেশ মনোরম। কিন্তু কুয়াশার চাদরে ঢাকা সন্ধেতে সে দৃশ্য যেন এক মরীচিকা।
আলস্যে ঘুম ঘুম পায়। কিন্তু ভয় হয় আবার যদি সেই কুকুরটা ডেকে ওঠে! আলস্য কাটাতে কেউ দেখি হঠাৎ একটু জগিং করে নিল বেডরুমে গিয়ে। বা এয়ার বক্সিং। অস্বাভাবিক ঠেকলেও বোঝা গেল বিগ বস-এর ঘরে বেশিক্ষণ থাকলে মানুষের মাথায় যে যে অদ্ভুত চিন্তা আসা স্বাভাবিক, এটা তারই একটা ছোট নিদর্শন। মনে প্রশ্ন জাগে এ কারণেই কি অস্মিত পটেল আর বীণা মালিক দুষ্টুমি করে সময় কাটাতেন এ বাড়িতে?
হঠাৎই মাইকে ভেসে আসে বিগ বস-এর গলা। একটা পাগলা গারদকে নকল করার টাস্ক দেওয়া হল আমাদের! তাও আবার এই জন্য যে ভাল পাগল না সাজলে নাকি পরের দিন সকালে ভাল খাবার দেওয়া হবে না!
বেশি ভাবনাচিন্তা না করেই পাগলামি পেয়ে বসল সব্বাইকে। কেউ পাগলের ডাক্তার। যে আবার সুযোগ বুঝেই সব মহিলার প্রেমে পড়ে যায়! বিশেষত তার নার্সের। কেউ গন্ধ পাগল। শুধু ফুল শুঁকে যায়। ইলেকট্রিক শক লাগানোর যন্ত্রটা মাথায় মুকুট করে পরে। কেউ আবার মাতাল পাগল। সব পাত্র থেকে অদৃশ্য মদ ঢেলে খায়। তার সঙ্গে মাংস। আর তার পর বমি করে। কেউ ডানা পাগল। মাইক্রোওভেনের গ্লাভস হাতে ঢুকিয়ে ওড়ার অভিনয় করে। আবার খানিক পরে কান্নায় ভেঙে পড়ে এই বলে যে একটা ডানা না কি তার ভেঙে গিয়েছে। কেউ বাড়ির রুম-ফ্রেশনার নকল ফুলে লাগিয়ে সবাইকে সেটা শোঁকায়। কেউ আবার এক কোনায় বসে একটা সেনসুয়াল গলা করে বলে চলে: ‘ডাক্তারবাবু, আমি কিন্তু পাগল নই!’
আর ডাক্তার মাঝে মধ্যেই যাকে পারে, তাকে ডেকে বলে স্ট্রেচারে শুয়ে পড়ো। এসো আমি ইনজেকশন দিয়ে দিই!
রাতের খাবার তেমন ভাল নয়। ক্লান্ত শরীর তখন শুধু অপেক্ষা করছে কখন আলো নেভানো হবে।
শোওয়ার পরে মনে হচ্ছিল কী এমন কারণ থাকতে পারে, যার জন্য স্বেচ্ছায় কেউ এমন একটা পরিবেশে থাকতে রাজি হতে পারে? আঁকড়ে বসে থাকতে পারে যাতে উচ্ছেদ না হতে হয়? ঝগড়া বা প্রেম যা খুশি করেই টিআরপি ধরে রাখতে চাইবে। লক্ষ্মীরতন শুক্ল বিগ বস-এর ঘরে যেতে রাজি হননি। বলেছেন, “টাকাটা আমার কাছে সর্বস্ব নয়। অক্টোবর থেকে রঞ্জি ট্রফির অনুশীলন শুরু হবে। এই সময়টা আমাকে রিহ্যাবে থাকতে হবে যাতে পায়ের চোটটা সেরে যায়।”
কিন্তু বাকিদের কি এ বাড়ির ক্যামেরাবন্দি মুহূর্তগুলো আরও বেশি কিছু দিতে সক্ষম? কতটা টাকা দেওয়া হলে মানুষ নিজের স্বাধীনতা এ ভাবে বিসর্জন দিতে পারে? |
আইরিশ মাইতি |
কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় |
সুদীপ্তা চক্রবর্তী |
সম্পূর্ণা লাহিড়ি |
|
কেনই বা বিক্রম, সুদীপ্তা, রুদ্রনীল, সম্পূর্ণা, কনীনিকা, মল্লিকা, অনীক ধর, মহেশ জালান, আইরিশ মাইতি, নন্দিনী পাল-রা রাজি হবেন এই শো-তে যেতে? ভিজিবিলিটি, টাকা, না কি অন্য কিছুর টান?
অনেকে বলে থাকেন, টাকার অঙ্কটা এতটাই বেশি যে তা উপেক্ষা করা কঠিন। প্রাইজ মানি ছাড়াও প্রত্যেক প্রতিযোগীর সঙ্গে চুক্তি করা হয় সপ্তাহে একটা মোটা অঙ্ক পাওয়ার। সে টাকার মূল্য কারও ক্ষেত্রে পঞ্চাশ হাজার, কারও ক্ষেত্রে আবার পাঁচ লক্ষের কাছাকাছি। হিসেব করে দেখা যায় যে বাংলা বাজারে সিরিয়াল, শো, সিনেমা করে হয়তো এই টাকাটা রোজগার করতে অনেক বেশি সময় লাগবে। বা হয়তো এতটা অনেক ক্ষেত্রে রোজগার করা সম্ভবপরও নয়।
আর তাই এই স্বেচ্ছানির্বাসন। যেখানে দিন-রাতের হিসেব থাকে না। যেখানে আলোর ঝলসানিতে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। শুধু একটাই লাভ। অপচয়ের মধ্যে দিয়েই মানুষকে চেনার একটা সুযোগ। আর নিজেকেও!
|
ঝগড়া |
|
মিটার |
|
৮/১০
পটা (অভিজিৎ বর্মন)
ঝগড়া ভালই করতে পারি। বাড়াবাড়ি হলে বাওয়ালও করি। চেষ্টা করব ইগনোর করতে। বৌ যাচ্ছে সঙ্গে। কিছু দিন একসঙ্গে কাটিয়ে বিগ বসে ঢুকে যাব |
|
০/১০
বিক্রম চট্টোপাধ্যায়
ঝগড়া বাচ্চা বয়সে করেছি। এমনিতে আমি শান্তিপ্রিয়। ঝগড়া করা পছন্দ করি না। তবে আমার যা পাওয়ার কথা, সেটা না পেলে বিদ্রোহ করতেও ছাড়ি না |
|
৬/১০
রুদ্রনীল ঘোষ
কিছু ক্ষণ ঝগড়া করার পর যদি দেখি কোনও ফল হচ্ছে না, শুধু শুধু এনার্জি ক্ষয় হচ্ছে, তখন ছেড়ে দিই। আর ঝগড়া চালিয়ে যেতে চাই না
|
|
|
|
|
|
|