আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকে ভাল ফল করতে মহিলা প্রার্থীদের উপরে নির্ভর করছে তৃণমূল। সে জন্য মহিলা প্রার্থীদের রাজনৈতিক ভাবে স্বনির্ভর করতে উদ্যোগী হয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস।
বৃহস্পতিবার উপেনবাবু ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের মহিলা প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করেন বাগদার হেলেঞ্চার একটি লজে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ মিলিয়ে ওই ব্লকে তৃণমূলের এ বার মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ১১৪ জন। দু’একজন বাদে প্রায় সব প্রার্থীই এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন। উপেনবাবু বলেন, “পঞ্চায়েতে ৫০ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হওয়ার ফলে অনেক নতুন মহিলা মুখকে প্রার্থী করা হয়েছে। ওই প্রার্থীদের মধ্যে স্বার্থহীনতা, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা মূল্যবোধ গড়ে তোলার জন্য তাঁদের ডাকা হয়েছিল।”
অনেক সময় দেখা যায়, স্ত্রী ভোটে দাঁড়ালে তাঁর স্বামীই চলে আসেন সামনের সারিতে। জনপ্রতিনিধি হওয়ার পরে স্বামীই সব দায়িত্ব স্ত্রীর হয়ে পালন করেন। উপেনবাবু বলেন, “স্বামীদের ছায়া থেকে বের করে স্বশক্তিতে এগিয়ে নিয়ে যেতেই এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই কাজ ২ বছর আগেই আমি শুরু করেছিলাম।”
মহিলা প্রার্থীরা তাঁদের অভিযোগের কথাও মন্ত্রীকে জানান। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, দলীয় কোন্দলে বিভক্ত বাগদা ব্লকে ভাল ফল করতে উপেনবাবুর এটিই কৌশল।
এ দিনের বৈঠকে উপেনবাবু নিজে আমন্ত্রণ করা সত্ত্বেও আসেননি ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা তরুণ ঘোষ। দলের জেলা পরিষদের প্রার্থী হয়েও আসেননি দিলীপবাবুর স্ত্রী দীপ্তি ঘোষ। দলীয় টিকিট না পেয়ে পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসনে গোঁজ প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন অনেকে। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “যাঁরা দলীয় প্রতীকের বাইরে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। দল তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে। ওরা আমাদের বিরোধী। ১২ জনের কমিটি সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত নিয়েই প্রার্থী তালিকা তৈরি করেছে।”
এ দিন বৈঠকে ছিলেন বাগদায় দলের পর্যবেক্ষক গোপাল শেঠ, তৃণমূল নেতা কার্তিক বাইন, পরিতোষ সাহা। মন্ত্রী মহিলাদের বলেন, “গত দু’বছরে সরকারের ভাল কাজ নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রচার করুন।” |