|
|
|
|
খড়্গপুরে স্কুল চত্বরেই হাতাহাতি দুই শিক্ষকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
এক সহ-শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ উঠল স্কুলেরই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। খড়্গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত বড়কোলা বিবেকানন্দ হাইস্কুলের এই ঘটনায় পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ পৌঁছেছে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) দফতরেও। প্রধান শিক্ষক অশোককুমার মান্নার দাবি, এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। অথচ হাতাহাতির পর সহ-শিক্ষক সমীরকুমার মুখোপাধ্যায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। প্রথমে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। গোটা ঘটনায় বিস্মিত অভিভাবক মহল। তাঁদের প্রশ্ন, স্কুলের মধ্যে যদি শিক্ষকেরাই এ ভাবে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে ছাত্রছাত্রীরা কী শিখবে?
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সঙ্ঘমিত্র মাকুড় বলেন, “বড়কোলা হাইস্কুলের এক সহ-শিক্ষকের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দেখছি।” জানা গিয়েছে, সঙ্ঘমিত্রবাবু অভিযোগপত্রটি পাঠিয়ে দিয়েছেন সহকারী জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (খড়্গপুর) কাছে। তাঁকেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাতাহাতির ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার। খড়্গপুর লোকাল থানায় বুধবার রাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সমীরবাবুর ছেলে অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, “আমার বাবা অন্যায় কাজকর্ম মেনে নিতে পারেননি। প্রতিবাদ করেছিলেন। তাই তাঁকে মারধর করা হয়।” অশোকবাবু দীর্ঘ দিন প্রধান শিক্ষক পদে থাকলেও মাঝে ক’মাস ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সামলেছেন সমীরবাবু। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে অভিষেক লিখেছেন, ‘২০০৯ সালে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক (অশোকবাবু) সাসপেন্ড হন। তখন স্কুল পরিচালন কমিটির সিদ্ধান্তে আমার বাবা সাময়িক ভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক (টিআইসি) হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১১ সালের নির্বাচনের পর স্কুলের পরিচালন কমিটি পরিবর্তন হয়। এবং অশোককুমার মান্নাকে বর্তমান পরিচালন কমিটির পুনরায় বহাল করে। পুনরায় প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পরই অশোকবাবু আমার বাবা-সহ স্কুলের একাংশ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অন্যায় কাজকর্ম, খারাপ ব্যবহার শুরু করেন।”
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সমীরবাবু হাজিরা খাতায় সই করতে গিয়েছিলেন। তখন অশোকবাবু অশোকবাবু ও কয়েকজন এসে বাধা দেন। মারা হয় কিল, চড়, ঘুঁষি। প্রধান শিক্ষক যদিও বলেন, “উনিই (সমীরবাবু) কয়েকজনকে এনে আমাকে হেনস্থা করেন।” অভিষেক বলেন, “মারধরের ফলে বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সহ- শিক্ষকেরাই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।”
ক’বছর ধরেই এই দুই শিক্ষকের ‘বিরোধ’ চলছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) কাছে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবেন সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক (খড়্গপুর)। তারপরই জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক এ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন। |
|
|
|
|
|