|
|
|
|
মণিপুর |
ধর্ষণের বিচারে দোষী দুই জওয়ান-সহ ৪
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
ধর্ষণ কাণ্ডের পনেরো মাসের মধ্যে অভিযুক্ত ২ জওয়ান ও অন্য দুই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করল মণিপুরের দায়রা আদালত। এখন অবধি এটিই ধর্ষণের ঘটনায় মণিপুরের দ্রুততম বিচার ও রায়দান। যৌন নিগ্রহ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত নতুন আইনে যখন তিন মাসের মধ্যে বিচার পর্ব সারার কথা বলা হয়েছে, তার তুলনায় ১৫ মাস অনেক বেশি সময়। কিন্তু যে রাজ্যে বহু ধর্ষণের ঘটনাই এক দশকের বেশি বিচারের আশায় ঝুলে থাকে, সেখানে এত দ্রুত রায়দান নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন। চারজনকে আদালত দোষী ঘোষণা করে জানিয়েছে, ১৯ জুন তাদের সাজা ঘোষণা করা হবে।
গত বছর ২১ মার্চ, তামেংলং-এর নুংলেইবাঁধের বাসিন্দা এক বিবাহিতা মহিলা ইম্ফলের বাজারে বিক্রির জন্য লঙ্কা নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিষ্ণুপুর জেলার ইরম মেইজরাওতে রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের হাভিলদার চুংখাম ইবোমচা, রাইফেলম্যান ক্ষেত্রিমায়ুম কেনেডি এবং তাদের দুই বন্ধু লাইখুরাম রজিত ও সালাম বিজেন আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাঁকে অপহরণ করে। তাঁর মোবাইল, টাকা কেড়ে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে।
ঘটনার জেরে গড়ে ওঠে যৌথ প্রতিবাদী মঞ্চ। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে চার অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হয় শুনানি। এ বছর জানুয়ারি মাসে, অভিযুক্তরা জামিনের আবেদন জানালে ক্ষিপ্ত ধর্ষিতা ছুরি নিয়ে আদালত চত্বরে চলে আসেন। জানান, ঘটনার পরে তাঁর বিবাহিত জীবন ছারখার হয়ে গিয়েছে। ন্যায়ের আশায় দিন কাটাচ্ছেন তিনি। আদালত অভিযুক্তদের জামিন দিলে তিনি নিজের হাতে তাদের শাস্তি দেবেন। শেষ অবধি বিচারক আদালত থেকে বেরিয়ে এসে তাঁকে আশ্বস্ত করেন। সেই দায়রা আদালতের বিচারক সালাম ইবোমচা চার অভিযুক্তকে ধর্ষণ, লুঠ, অস্ত্র আইন, অপহরণের বিভিন্ন ধারায় দোষী বলে রায় দিয়েছেন। যৌথ প্রতিবাদ মঞ্চের আহ্বায়ক কাকোমলুং কামেই আদলতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “আশা করি অপরাধীরা সবচেয়ে কড়া সাজা পাবে।” অভিযোগকারিণী তাঁর পাশে দাঁড়ানো সব সংগঠন ও ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “সমাজের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলাম। এই রায়ে আইনের প্রতি খানিকটা আস্থা ফিরল।” |
|
|
|
|
|