প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা সংক্রান্ত দু’টি তদন্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে তলব করেছে। ৪ জুলাই পুলিশ কমিশনারকে কমিশনের সামনে হাজির হতে হবে। পুলিশ কমিশনার ছাড়াও জোড়াসাঁকো থানার ওসি, এক সাব-ইনস্পেক্টর এবং দু’জন কনস্টেবলকেও ওই দিন জিজ্ঞাসাবাদের ডেকেছে কমিশন। ১০ এপ্রিল প্রেসিডেন্সিতে হামলার পরে সিপি-কে তদন্ত করে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেয় কমিশন। তারা নিজেরাও প্রেসিডেন্সির প্রাক্তন অধ্যক্ষ অমল মুখোপাধ্যায়কে দিয়ে তদন্ত করায়। অমলবাবু ২৭ মে তদন্ত রিপোর্ট দেন এবং হামলার দিন পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার দিকেই আঙুল তোলেন। ২৬ এপ্রিল সিপি-র তদন্ত রিপোর্টে অবশ্য স্পষ্ট ভাবে কিছু জানানো হয়নি। গ্রীষ্মকালীন ছুটির পরে, ৩ জুন কমিশনের চেয়ারম্যান এবং দুই সদস্য কাজে যোগ দেন। ১০ জুন তাঁরা রিপোর্ট দু’টি খতিয়ে দেখেন। তার পরেই তাঁরা সিপি এবং জোড়াসাঁকো চার পুলিশকর্মীকে ৪ জুলাই কমিশনে ডেকে পাঠান বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
|
পথচলতি ভিড়ে ফাঁকা অটো দেখে অনেকেই হাত দেখিয়েছিলেন। চালকের আসনে সাহেবকে দেখে মনে হয়েছিল কোনও সিনেমার শু্যটিং হচ্ছে বুঝি। কিন্তু ক্যামেরা তো নেই। তা হলে? অটোয় চেপে বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘুরছেন দুই ব্রিটিশ যুবক রিচার্ড সিয়ার্স ও নিক গফ। কয়েকমাস আগে লন্ডন থেকে যাত্রা শুরু তাঁদের। উদ্দেশ্য, বিভিন্ন দেশে পিছিয়ে পড়া মানুষের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটানো। আফ্রিকার নানা দেশ হয়ে পৌঁছন মুম্বইয়ে। সেখান থেকে অটোয় উদয়পুর, যোধপুর, জয়পুর, আগরা, লখনউ, গোরক্ষপুর হয়ে নেপাল। সম্প্রতি কলকাতায় আসেন তাঁরা। শহরের নানা প্রান্তে ঘোরার পরে অটোটিকে পাঠিয়েছেন পরবর্তী গন্তব্য মালয়েশিয়ায়। এই দীর্ঘ পথে অভিজ্ঞতাও কম হয়নি তাঁদের। রবার্টরা জানাচ্ছেন, উগান্ডায় বুনো হাতির ধাক্কায় প্রায় উল্টে গিয়েছিল তে-চাকার যানটি। এমনই হামলার মুখে পড়তে হয় বোৎসওয়ানাতেও। আফ্রিকায় রবার্টদের বেকায়দায় ফেলে কাদা। তানজানিয়ায় কাদা-বালি ঠেলে পাড়ি দিতে হয়েছে তাঁদের। রোয়ান্ডায় দেখা পেয়েছেন গণহত্যার সাক্ষী দু’জনের। পিছিয়ে পড়া মানুষদের নিয়ে যে সব সংগঠন কাজ করে, তাঁদের আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থাও করেন এঁরা। দিল্লির একটি যৌনপল্লীতে ও মুম্বইয়ের বস্তিতে মেয়েদের নিয়ে কাজ করা দু’টি সংগঠনকে সাহায্যের জন্য বেছেছেন তাঁরা।
|
সোনা পাচার করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা বিমানবন্দরে ধরা পড়লেন শ্রীলঙ্কার যুবক মহম্মদ রিয়াজ। মিলেছে ৪৫ লক্ষ টাকা দামের দেড় কিলো সোনা। এ দিন দুবাই থেকে কলকাতায় নেমে ছোট একটি ব্যাগ নিয়ে তিনি বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। সাধারণত দুবাই থেকে আসা যাত্রীদের সঙ্গে বড় ব্যাগ থাকলেও রিয়াজের কাছে ছোট হাত ব্যাগ থাকায় সন্দেহ হয় শুল্ক অফিসারের। তাঁর পাসপোর্ট পরীক্ষা করে দেখা যায়, গত এক মাসে আট বার দুবাই গিয়েছেন তিনি। কখনও দিল্লি থেকে, কখনও মুম্বই থেকে। ফিরেছেন কখনও আহমেদাবাদ, কখনও বেঙ্গালুরু বা মুম্বই হয়ে। এই প্রথম কলকাতা দিয়ে ফিরছিলেন তিনি। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, জেরায় রিয়াজ স্বীকার করেন, তাঁর পায়ুদ্বারে লুকানো আছে দেড় কিলো সোনা। মোট তিনটি প্যাকেটের প্রতিটিতে ছিল পাঁচটি করে সোনার বিস্কুট। প্রতিটির ওজন একশো গ্রাম। শুল্ক দফতর জানায়, বিস্কুটের উপরে কার্বন ও প্লাস্টিক মুড়ে তা ক্রিমের সাহায্যে পায়ুদ্বারে ঢোকানো হয়। জানা গিয়েছে, কার্বন দিয়ে মোড়া থাকলে তা অনেক সময়ে ধরা পড়ে না এক্স-রে মেশিনে। চেন্নাইয়ের এক ব্যক্তিকে সোনা দেওয়ার কথা ছিল বলে রিয়াজ জানান।
|
সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে এসএফআই-এর মিছিলে যোগ দিতে আসার সময়ে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ওই ছাত্রী এপিসি রোড ধরে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে এসএফআইয়ের জমায়েতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। তখন চার যুবক তাঁর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রী প্রতিবাদ করেন। এক যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। বাকি তিন জন অবশ্য পালায়। ওই ছাত্রী ধৃতকে কাছেই পুলিশ কিয়স্কে নিয়ে যান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত মহম্মদ ওয়াসিম ক্যানাল ওয়েস্ট রোডের বাসিন্দা। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, কিয়স্কে অভিযোগ জানানোর পরে পুলিশ তাঁকে এবং অভিযুক্ত ওই যুবককে একসঙ্গে প্রিজন ভ্যানে মুচিপাড়া থানায় নিয়ে যায়।
|
পাটুলির বৃদ্ধ সুজিত চৌধুরী খুনের ঘটনার বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্তও কোনও কিনারা হয়নি। পুলিশ জেনেছে, সুজিতবাবু তাঁর এক পরিচিতের সঙ্গে একটি বাড়ি বানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। তাই বেশ কয়েক জায়গায় জমিও দেখেছিলেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিচিত ব্যক্তি পেশায় রংমিস্ত্রি। তাঁর সঙ্গে কী ভাবে সুজিতবাবুর আলাপ হল, খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, দু’জনের মধ্যে ঠিক হয়েছিল সুজিতবাবুর মৃত্যুর পরে নতুন কেনা বাড়িটির মালিক হবেন ওই রংমিস্ত্রি। সম্পত্তির জন্যই সুজিতবাবুকে খুন হতে হল কি না, তা নিয়ে ধন্দে গোয়েন্দারা।
|
নগর দেওয়ানি আদালতে আইনজীবীদের ধর্মঘট তুলতে হস্তক্ষেপ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণকুমার মিশ্র। বৃহস্পতিবার তিনি ওই আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের দাবির ব্যাপারে বিবেচনার আশ্বাস দেন। এখন ১০ লক্ষ টাকার বেশি সম্পত্তি নিয়ে মামলা হলেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়। নগর দেওয়ানি আদালতের আর্থিক অধিক্ষেত্র অন্তত এক কোটি করার দাবিতে গত ২১ মে থেকে আইনজীবীরা ধর্মঘট করছেন। আইনজীবীদের বক্তব্য, এ দিনের বৈঠকের পরেও ১৮ জুনের আগে ধর্মঘট তোলার সম্ভাবনা নেই। আজ, শুক্রবার বৈঠক ডাকা হয়েছে। |