দিন দিন বহুতলের সংখ্যা বাড়ছে মহানগরে। তৈরি হচ্ছে শপিং মল। সেই সব বহুতলে অগ্নিকাণ্ড বা অন্য দুর্ঘটনায় আটকে পড়া লোকেদের উদ্ধারের কাজ আরও ভাল ভাবে করার জন্য ফিনল্যান্ড থেকে নতুন দু’টি মই কিনছে রাজ্য। দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান সম্প্রতি জানান, মোটা কাপড়ে ঢাকা নতুন এই হাইড্রলিক মই দিয়ে দু’মিনিটে বহুতলে আটকে থাকা লোকেদের নামানো যাবে। মইয়ের নীচে থাকবে মোটা কুশন। ফলে চোট লাগার আশঙ্কা কমবে। বিদেশে এই ধরনের মইকে ‘চুট’ বলা হয়। মন্ত্রী জানান, এখন দমকলের তিনটি হাইড্রলিক মই রয়েছে। সেগুলি দিয়ে ওঠানামা করতে ৫-৬ মিনিট লাগে।
মন্ত্রীর কথায়, “এখনকার মইগুলির একটি ৭০ মিটার, একটি ৫৪ মিটার ও একটি ৩০ মিটার উঁচু পর্যন্ত কাজ করে। নতুন মই দু’টি ৫৪ মিটার ও ৪২ মিটার। ৭০ মিটার উঁচু মই দিয়ে ২১ তলা পর্যন্ত ওঠা যায়।” মন্ত্রী বলেন, “বাম আমলে নন্দরাম মার্কেট ও স্টিফেন কোর্টে আগুন লেগে অনেকের মৃত্যু হয়। আমাদের সময়ে ঢাকুরিয়ার আমরিতে আগুনে বহু রোগী মারা যান। এর পর থেকেই পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিয়েছি।” |
আমরির অগ্নিকাণ্ডের পর দমকলমন্ত্রী একটি কমিটি তৈরি করেন। সেই কমিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও বহুতলগুলির অগ্নি-নির্বাপক ব্যবস্থা দেখে প্রয়োজনীয় কাজের নির্দেশ দেয়। সেই মতো হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিতে আগুন নেভানোর জন্য পাইপলাইন তৈরির কাজ হয়েছে। বসানো হয়েছে স্প্রিঙ্কলার, স্মোক ডিটেক্টর ও হিট ডিটেক্টর। দমকলমন্ত্রী এ দিন বলেন, “সেইসব দেখভালে অগ্নি-নির্বাপণে মনিটরিং ব্যবস্থা চালু হবে। আসানসোল ও শিলিগুড়িতে বহুতল বাড়ছে। সেখানেও পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে।”
তাঁর কথায়, “ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী প্রতিটি বহুতলে দেড় লক্ষ লিটার জলের রিজারর্ভার, হাই প্রেশার পাম্প, আলাদা ঢোকা-বেরোনোর রাস্তা, ইলেকট্রিক ওয়্যারিং, স্মোক হিট ডিটেক্টর ও ডিফিউজ এলাকা থাকা দরকার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না। তাই মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। প্রয়োজনে নিরাপত্তা দেখভালের জন্য সরকার থেকে প্রশিক্ষিত করে বেকার যুবকদের লাইসেন্স দেওয়া হবে।” |