একটি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন। তাতে আট জন নির্দল প্রার্থী। সকলেই পেশায় হয় স্কুল বা কলেজ শিক্ষক। লক্ষ্যণীয়ভাবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওই প্রার্থীদের উপস্থাপক তাঁদের স্ত্রী। যে গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে মূল রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ওঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সেই আসনটি হল দুবরাজপুরের হেতমপুর পঞ্চায়েতের ১০ নম্বর সংসদ। প্রশ্ন হল, ওই আসনে কী এমন আছে যেখানে আট নির্দল প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন? এখানে তাঁদের কোনও ক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্য নেই। শুধুমাত্র পঞ্চায়েত ভোটে তাঁদের পোলিং ডিউটি এড়িয়ে চলার জন্যই প্রার্থী হয়েছেন সকলে এমনটাই খবর প্রশাসন সূত্রে।
নির্বাচনে দাঁড়ানো ওই সব শিক্ষকদের একটা অংশ সে কথা স্বীকার করে নিয়েও বিভিন্ন অজুহাত খাড়া করছেন। কেউ বলেছেন, কয়েক মাস পরে অবসর নেব। তাই আর ঝামেলায় জড়াতে চাইনি। কেউ অবার নিজের বা বাড়ির কারও অসুস্থতাকে ঢাল করেছেন। কিন্তু শিক্ষকেরা কি নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন? প্রাথমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, কলেজ, শিশুশিক্ষাকেন্দ্র বা মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষকেরা ভোটে প্রার্থী হতে পারেন। তবে শর্ত একটাই সংশিষ্ট দফতরের এ ক্ষেত্রে কোনও আপত্তি থাকলে হবে না। নির্বাচন কমিশনের সেই নির্দেশের ফাঁকগলেই সুযোগ নিচ্ছেন শিক্ষকদের একাংশ মত প্রশাসনের। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “এ সব ক্ষেত্রে শিক্ষকেরা গ্রাম পঞ্চায়েতের এমন আসন খোঁজেন যেটা সংরক্ষিত নয় এবং মাত্র ১৫০ টাকা খরচ করে কোনও ঝামেলা ছাড়াই প্রার্থী হওয়া সম্ভম।” |