সংঘর্ষের কয়েক ঘণ্টা পরেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন সিপিএম প্রার্থী জাহানারা বিবি। অবশ্য মনোনয়ন প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে তিনি পারিবারিক সমস্যার কথা জানিয়েছেন। জাহানারা বিবি দুবরাজপুরের হেতমপুর পঞ্চায়েতের রসুলপুর সংসদ থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুবরাজপুর ব্লক অফিসে মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর তিনি বলেন, “বাড়ির অসুবিধার জন্য স্বেচ্ছায় সরে গেলাম।” তবে তৃণমূলের সন্ত্রাসের জন্য প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করেছেন ওই মহিলা প্রার্থী এমনটাই দাবি সিপিএম নেতৃত্বের। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। |
জাহানারা বিবি। নিজস্ব চিত্র। |
হেতমপুর পঞ্চায়েতের রসুলপুর ও দোবান্দা গ্রাম নিয়ে একটি সংসদের প্রার্থী হয়েছেন সিপিএমের জাহানারা বিবি। অভিযোগ, দিন কয়েক থেকেই তাঁর প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছে তৃণমূল। এই নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একে অপরের বিরুদ্ধে চড়াও হয়ে তাদের দলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থীদের ভয় দেখানো ও সমর্থকদের মারধর কারার অভিযোগ তুলেছিল। ঘটনায় তাদের দলের পাঁচ জন জখম হয়েছিলেন বলে দাবি করেছিল সিপিএম। যাঁদের মধ্যে এক জনকে কলকাতায় রেফার করা হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, ক্রমাগত চাপ, বোমাগুলি ও এলাকায় অশান্তি ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত। শুধু তাই নয়, এ বার থেকে যাঁরা এই গ্রামের সব মানুষ তৃণমূলকেই সমর্থন করবেন। কেন? উত্তরে বেশ কিছু গ্রামবাসী বলেন, “আমরা গরিব। এই রাজনৈতিক হানাহানির ফলে আমাদের মত মানুষের ক্ষতি হলে বা হাসপাতালে থাকলে তাঁর পরিবার চলবে কী করে?”
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অরুণ মিত্রের অভিযোগ, “শুধু ওই প্রর্থীই নয় আমাদের অন্যান্য মহিলা প্রার্থীদের উপরও একই ভাবে চাপ সৃষ্টি করছে তৃণমূল। প্রশাসন নির্বিকার। একদিন মানুষ এর জবাব দেবেই।” অন্য দিকে, তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, “গ্রামবাসী বা কোনও প্রার্থীর উপরে চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগ ঠিক নয়। কেউ স্বেচ্ছায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করতেই পারেন।” |