|
|
|
|
সিপিএম প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
দলীয় প্রার্থীকে অপহরণ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্গাপুর মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিল সিপিএম। অভিযোগ, মণি সূত্রধর নামে দুর্গাপুর সংলগ্ন জেমুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই প্রার্থীকে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর কর্মস্থল থেকে তৃণমূলের লোকজন তুলে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হলেও তৃণমূলের মিছিলে না হাঁটলে কাজ হারাতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। মহকুমাশাসক কস্তুরী সেনগুপ্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
সিপিএমের জেমুয়া-বিধাননগর লোকাল কমিটির সম্পাদক পঙ্কজ রায় সরকার জানান, টেটিখোলা এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে তাঁদের দলের প্রার্থী হয়েছেন মণিবাবু। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টো নাগাদ তাঁরা খবর পান, মণিবাবুকে তাঁর কর্মস্থল বামুনাড়ার একটি বেসরকারি কারখানা থেকে কয়েক জন তুলে নিয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, “খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তারা তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক। ঘণ্টা দু’য়েক পরে তাঁকে মলানদিঘির কাছে ছেড়ে দেওয়া হয়। পায়ে হেঁটে রূপগঞ্জে মেয়ের বাড়িতে যান তিনি। সেখানেও তাকে হুমকি দেয় তৃণমূল।” তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের মিছিলে না হাঁটলে মণিবাবুকে কাজ হারাতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। |
|
মহকুমাশাসকের অফিসের সামনে সিপিএমের সদস্য-সমর্থকেরা। —নিজস্ব চিত্র। |
তৃণমূলের দুর্গাপুরের ৩ নম্বর ব্লক সভাপতি সুনীল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নিজেরা প্রার্থী জোগাড় করতে না পেরে সিপিএম মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। বিরোধী প্রার্থীদের হুমকি দেওয়ার রেওয়াজ ছিল সিপিএম আমলেই। এখন আর ওসব হয় না।”
অন্য দিকে, সিপিএমের তরফে পঙ্কজবাবু বলেন, “মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়ে বিডিও অফিসের সামনে ব্যাপক বাধা সৃষ্টি করেছিল তৃণমূল। তারপরেও বহু ঝুঁকি নিয়ে প্রার্থীরা মনোনয়ন দাখিল করেছেন। তবে চার জন শেষ পর্যন্ত সফল হননি।” তিনি জানান, মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপিতে তার উল্লেখও করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এছাড়াও অভিযোগ পত্রের প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে কাঁকসা থানা ও নিউটাউনশিপ থানায়। তিনি বলেন, “নির্বাচন বড় কথা নয়। কিন্তু বিরোধীরা বাড়িতে নিশ্চিন্তে থাকতে পারছেন না, কাজে যেতে পারছেন না। এটা আর যাই হোক, গণতন্ত্র নয়।” |
|
|
|
|
|