তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন কংগ্রেস পরিচালিত উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের বিদায়ী সহকারি সভাধিপতি বিনয় সরকার ও তাঁর স্ত্রী ইটাহার পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি সুনীতি সরকার। বুধবার রায়গঞ্জে কর্ণজোড়ায় মহকুমাশাসকের দফতরে হাজির হয়ে জেলা কংগ্রেস নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। বিনয়বাবু ইটাহার পঞ্চায়েত সমিতির ১০ নম্বর আসনে তৃণমূলের টিকিটে মনোনয়নপত্র জমা দেন। সুনীতিদেবী ইটাহার ব্লকের জেলা পরিষদের ২৫ নম্বর আসনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন।
২০০৮-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিনয়বাবু কংগ্রেসের টিকিটে ইটাহার ব্লকের জেলা পরিষদের ২১ নম্বর আসনে জয়ী হয়ে জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি নির্বাচিত হন। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই তাঁর সঙ্গে কংগ্রেসের দুরত্ব বাড়তে থাকে। গত ভোটে সুনীতিদেবী ইটাহার পঞ্চায়েত সমিতির ৯ নম্বর আসনে কংগ্রেস টিকিটে জয়ী হয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। বিধানসভা নির্বাচনের পর সুনীতিদেবী সহ পঞ্চায়েত সমিতির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য তৃণমূলে যোগ দিলেও সরকারি ভাবে কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী হিসেবেই তাঁরা কাজ চালাচ্ছিলেন। বিনয়বাবুর অভিযোগ, “জেলা কংগ্রেস নেতাদের একাংশ দলে আমাদের গুরুত্বহীন করে রেখেছিলেন। তা ছাড়া কংগ্রেস নেতাদের মদতে জেলা পরিষদে দুর্নীতি শুরু হয়েছিল। কর্মাধ্যক্ষদের সঙ্গে ঠিকাদারদের আঁতাঁত বাড়ছিল। এসব মানতে না পেরে তৃণমূলে যোগ দিলাম।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত দাবি করেন, দুর্নীতি ও দলবিরোধী কাজে জড়িত থাকায় বিনয়বাবু ও সুনীতিদেবীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁর কটাক্ষ, “বিনয়বাবু নির্বাচনে হেরে যাবেন বুঝে জেলা পরিষদে লড়ছেন না।” |