বড়দের রাজনৈতিক গোলমালে রেহাই মিলছে না ছোটদেরও। মঙ্গলবার রাতে তুফানগঞ্জ থানার মারুগঞ্জের আলুধোয়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে। জখম নাবালিকার নাম শম্পা দাস মারুগঞ্জ হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী কোচবিহার জেলা সদরের এমজেএন হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। জখম শম্পার বাবা পলান দাস বিজেপির সমর্থক। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক প্রার্থীর প্রস্তাবক হিসাবেও সই করেন তিনি।
বিজেপির অভিযোগ, ওই অপরাধেই মঙ্গলবার রাতে একদল তৃণমূল সমর্থক পলানবাবুর বাড়িতে হামলা চালায়। এলোপাথারি ইটপাথর ছোঁড়া হয় লোডশেডিংয়ের রাতে ঘটনায় হকচকিয়ে যাওয়া শম্পা দরজার সামনে এলে তাকে লক্ষ্য করেও পাথর ছোঁড়া হয়। তারই একটি পাথর শম্পার বুকে লাগায় যন্ত্রণায় লুটিয়ে পড়ে সে। পরে রাতেই তড়িঘড়ি পরিবারের লোকেরা শম্পাকে কোচবিহার হাসপাতালে ভর্তি করান। বিজেপির কোচবিহার জেলা সম্পাদক নিখিল দে বলেন, “ওর বাবা আমাদের প্রার্থীর প্রস্তাবক বলে হামলা হয়েছে। বাড়ির ছোটদেরও রেহাই দেওয়া হবে না? পুলিশ গেলেও কাউকে ধরা হয়নি।”
জেলা হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে বুধবার শম্পা বলল, “বাইরে কী হচ্ছে তা দেখতে যেতেই পাথর বুকে এসে পড়ল। এখনও ব্যথা হচ্ছে। আমার দোষটা কি বুঝলাম না।”
তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দাবি, অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁর অভিযোগ, “অন্য কোনও কারণে অসুস্থ ওই ছাত্রীকে সামনে রেখে বিজেপি রাজনৈতিক সহানূভূতি আদায়ের চেষ্টা করছে।” কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে। |