পঞ্চায়েত ভোটে ভাল ফল করতে নিজেদের দায়িত্বে থাকা জেলাগুলির উপরে মনোযোগী হওয়ার জন্য মন্ত্রীদের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠক এক মাস পরে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। বুধবার মহাকরণে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেশির ভাগ মন্ত্রীই অবশ্য অনুপস্থিত ছিলেন। যাঁরা ছিলেন না, তাঁরা
সবাই পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ত বলে মহাকরণ সূত্রের খবর।
এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে যাঁরা ছিলেন তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে যেন তাঁরা মনোযোগী হন। সব জেলায় যাতে ভোট নির্বিঘ্নে হয় তা দেখতে বলেন। এমনিতে মাসে দু’বার করে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য এ মাসে আর মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকার প্রয়োজন নেই। পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠক ১০ জুলাই হবে বলে স্থির হয়েছে।
মন্ত্রী ছাড়াও বিভিন্ন জেলার দলের বিধায়কদের পঞ্চায়েত ভোটে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে এলাকায় এলাকায় প্রচারের কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তপসিয়ায় তৃণমূলের রাজ্য দফতরে ভোট-প্রক্রিয়ার কাজ পরিচালনা করছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। প্রথম দফার প্রার্থী মনোনয়ন মসৃণ ভাবেই শেষ হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। দ্বিতীয় দফার মনোনয়নের কাজ চলছে। কিন্তু বিরোধীরা যে শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ নিয়ে অভিযোগ তুলছেন তা নিয়ে মুকুলবাবুর বক্তব্য, “জেলা পরিষদের গোটা দশেক ছাড়া সব আসনেই তো প্রার্থী দিতে পারছে বিরোধীরা! আসলে পঞ্চায়েতে বা সমিতিতে মহিলা, তপসিলি জাতি, উপজাতিদের জন্য আসন সংরক্ষণের কারণে বিরোধীরা প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছেনা। কারণ তাদের দলের সেই সাংগঠনিক পরিকাঠামো নেই।” বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাঁদের জয় নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এ দিন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও বলেন, “আমি একই উত্তর দেব, যেটা একদা আমার প্রশ্নের উত্তরে জ্যোতিবাবু বা বুদ্ধদেববাবুরা বলতেন ওঁরা প্রার্থী দিতে না পারলে কি আমরা দিয়ে দেব?” |