|
|
|
|
ভোট ময়দানে শ্বশুর-জামাই
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
কোথাও স্বামী-স্ত্রী, কোথাও বাবা-ছেলে, আবার কোথাও শ্বশুর-জামাই। নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। যেখানে দলীয় প্রতীক না পেয়ে গত বারের জয়ীরা নির্দল হিসাবে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছেন, সেখানেই কোনও কোনও নেতার পরিবারের দু’-তিন জন প্রার্থী হয়ে গিয়েছেন।
নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের কেন্দেমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান তৃণমূল প্রধান শেখ সাহাউদ্দিন এ বারও পূর্ব গোপীমোহনপুর গ্রামের পঞ্চায়েত আসনে তৃণমূল প্রার্থী হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা নিশ্চিত করেছেন। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেই হোসেনপুর গ্রামের প্রার্থী হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা নিশ্চিত করেছেন তাঁর স্ত্রী মানসুরা খাতুন। এই ব্লকেরই সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি দু’টি আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন নিহত তৃণমূল নেতা নিশিকান্ত মণ্ডলের স্ত্রী মানসী মণ্ডল ও তাঁর ছেলে সত্যজিৎ মণ্ডল। নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধক্ষ্য শেখ সুফিয়ান শুধু নিজেই জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াননি, মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তারাচাঁদবাড় আসনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে নিজের জামাই হাবিবুর রহমানকে (নান্টু) প্রার্থী করেছেন। সুফিয়ানের আরও এক জামাই ভোটে দাঁড়িয়েছেন, তবে নির্দল প্রার্থী হিসাবে। অন্য দিকে, নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাদল মাইতি এ বারও পঞ্চায়েত সমিতির একটি আসনে দলের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। বাদলবাবুর ছেলে বয়াল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সমর মাইতি পঞ্চায়েতের একটি আসনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন।
তৃণমূলের প্রার্থী নির্বাচনে পরিবারতন্ত্রের এই ঝোঁক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা আবু তাহের অবশ্য বলেন, ‘‘দলের স্থানীয় কর্মী-সমর্থকদের সুপারিশ অনুযায়ী প্রার্থী তালিকা করা হয়েছে। এতে হয়তো কোনও পরিবারের একাধিক সদস্য প্রার্থী হয়েছেন। এর সঙ্গে পারিবারিক পরিচয়ের কোনও যোগ নেই।” |
|
|
|
|
|