|
|
|
|
নন্দীগ্রাম নিয়ে বিব্রত তৃণমূল |
মুখোমুখি লড়াই দুই কর্মাধ্যক্ষের
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি নন্দীগ্রামে দুই তৃণমূল কর্মাধক্ষ্যের দ্বৈরথ নতুন মাত্রা আনল পঞ্চায়েত ভোটে।
নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে খোদামবাড়ি এলাকায় পঞ্চায়েত সমিতির একটি আসনে প্রার্থী হয়েছেন ওই পঞ্চায়েত সমিতিরই কৃষি-সেচ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ সুব্রত হাজরা ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মহাদেব বাগ। তৃণমূলের টিকিট পেয়েছেন মহাদেববাবু। আর দলের প্রতীক না পেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন সুব্রতবাবু। পাশাপাশি এই ব্লকেই পঞ্চায়েত সমিতির আরও একটি আসনে তৃণমূল প্রার্থী সঞ্জীব জানার বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ্য কৃষ্ণগোপাল গিরি। দল মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দলেরই বিক্ষুদ্ধ নেতাদের এই লড়াই নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন বলেন, ‘‘দলের প্রার্থী হতে না পেরে কিছু আসনে দলের কর্মীরা নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়েছেন। পরে অনেকে সরেও গিয়েছেন। যাঁরা এখনও সরেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে দলীয় ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বার নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের ৯১টি পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে মাত্র ৪০টিতে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিয়েছে বিরোধী বামফ্রন্ট। পঞ্চায়েত সমিতির ২০টির মধ্যে ১২টিতে প্রার্থী দিয়েছে বামেরা। পঞ্চায়েতে ৯টি ও পঞ্চায়েত সমিতির ৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস।
কিন্তু বিরোধী নয়, তৃণমূলে আলোচনা এখন নিজেদের নিয়ে। নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের খোদামবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির বর্তমান পূর্ত কর্মাধক্ষ্য মহাদেব বাগ। দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত মহাদেববাবুর বিরুদ্ধে সিপিএমের প্রার্থী শেখ মান্নান ছাড়াও নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়ছেন পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুব্রত হাজরা। সুব্রতবাবু প্রসঙ্গে মহাদেববাবু অবশ্য বলেন, “গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে উনি সিপিএম থেকে আমাদের দলে এসেছিলেন। পঞ্চায়েত সমিতির একটি পদে দ্বায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু উনি দলের কর্মসূচিতে থাকতেন না। এখন দলের সঙ্গে সম্পর্কও নেই। সিপিএমের সুবিধা করে দিতেই আমার বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন।”
এ দিকে খোদামবাড়ি-১ পঞ্চায়েত এলাকার একটি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন দলের ব্লক কমিটির সদস্য সঞ্জীব জানা। তাঁর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াই করেছেন বর্তমানে পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ কৃষ্ণগোপাল গিরি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্দল হিসাবে দাঁড়ানোর প্রসঙ্গে কৃষ্ণগোপালবাবু বলেন, “আমাকে না জানিয়েই দলের প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে। এ ছাড়াও দলের স্থানীয় কিছু নেতার দুর্নীতির প্রতিবাদ জানাতেই আমি নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” |
|
|
|
|
|