|
|
|
|
পুরনো সঙ্গীর সঙ্গে জোটে ডিসিপিএম
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাঁতন |
অবশেষে দাঁতনে সিপিএমের সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধল একদা সিপিএম ভেঙে তৈরি হওয়া ডিসিপিএম।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডিসিপিএমের সঙ্গে জোট হয়েছিল তৃণমূলের। এ বার পাল্টি কেন?
দলের প্রতিষ্ঠাতা একদা বিক্ষুব্ধ সিপিএম নেতা অলোক নন্দীর যুক্তি, “সিপিএমের থেকেও ভয়ানক হল তৃণমূল। ওদের মোকাবিলা কেউ একক ভাবে করতে পারবে না। তাই স্থানীয় স্তরে এই ফ্রন্ট করা হয়েছে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, গতবার তৃণমূল-সিপিএম জোট বাধায় সমস্যায় পড়েছিল সিপিএম। আর এ বার তা মাথাব্যথা হতে পারে তৃণমূলের। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য তা মানতে নারাজ। প্রকাশ্যে এই জোটকে গুরুত্বও দিচ্ছেন না তাঁরা। তৃণমূলের দাঁতন ব্লক সভাপতি বিক্রম প্রধান বলেন, “এটা সুবিধাবাদী জোট। আমাদের স্থির বিশ্বাস মানুষ ওদের পাশে থাকবেন না।’’
জোট বাঁধা লাভজনক বুঝে বেশ কয়েকবার বৈঠকে বসেছিলেন সিপিএমের দাঁতন জোনাল কমিটির সম্পাদক অনিল পট্টনায়ক, সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য গুণধর পাত্র ও অলোক নন্দী। গঠিত হয় ‘সংগ্রামী বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল ফ্রন্ট’। যদিও সব আসনে সমঝোতা হয়নি। জেলা পরিষদের দু’টি আসন নিয়েছে সিপিএম। পঞ্চায়েত সমিতির ২৬টি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২৪টি আসনের মধ্যে সিপিএম ১৬ ও ৭১, ডিসিপিএম ৮ ও ২৫ এবং সিপিআই ৪ ও ১৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। ১০টি আসন ছাড়া হয়েছে বাম সমর্থিত নির্দলকে। দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বিরোধের জেরে ২০০৭ সালে প্রায় কয়েকশো সদস্য-সহ সিপিএম ছাড়েন অলোকবাবু। পরে সিপিএম থেকে তাঁকে বহিষ্কারও করা হয়। তৎকালীন পূর্তমন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামী ও তাঁর দল ফরওয়ার্ড ব্লককে নিয়ে অবশ্য লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন অলোকবাবু। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে রাজনৈতিক গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। নির্বাচনের পরেই অবশ্য জোট ভাঙে। |
|
|
|
|
|