নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
একদা ‘লালদুর্গ’ হাওড়ার বাঁকড়া-১ পঞ্চায়েতের একটি বুথে প্রার্থীই দিতে পারেনি সিপিএম। কিন্তু তারপরেও সেই আসনটি জিততে পারল না তৃণমূল।
তপসিলি জাতি-উপজাতি সংক্রান্ত শংসাপত্রের বৈধতা বাতিল হয়ে যাওয়ায় ডোমজুড় থানার বাঁকড়া-১ পঞ্চায়েতের ১৩৬ নম্বর বুথে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গিয়েছে তৃণমূল প্রার্থী বাসন্তী বসুর। প্রার্থী নেই অন্য রাজনৈতিক দলের।
ডোমজুড়ের বিডিও প্রদীপ্ত ভক্ত বলেন, “ওই প্রার্থী আসল জাতিগত প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি। তাই মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।”
বাঁকড়া-১ অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি আখতার হোসেন মোল্লা (ভুলন) বলেন, “বাসন্তী বসু আমাদের তিন বারের জয়ী প্রার্থী। কিন্তু তাঁর তপসিলি জাতি-উপজাতির শংসাপত্রের বৈধতা যে শেষ হয়ে গিয়েছে, সেটা দল জানত না।” স্থানীয় তৃণমূল নেতা নুরাজ মোল্লা জানান, গত বছর মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার সময়েই সংশ্লিষ্ট আধিকারিক বলে দিয়েছিলেন, ভোটে জিতলে ছ’মাসের মধ্যে নতুন ‘কাস্ট সার্টিফিকেট’ করে নিতে হবে। কিন্তু নির্বাচনে জিতলেও সেই শংসাপত্র উনি তৈরি করাননি।
কী বলছেন প্রার্থী নিজে? বাসন্তীদেবীর গলায় আক্ষেপের সুর। বললেন, “এ বছর যে নিয়ম বদল হয়েছে, সেটা আমাকে কেউ জানায়নি।” প্রশাসন জানায়, নির্বাচন কমিশন নোটিস দিলে তবেই ওই বুথে পুনরায় নির্বাচন হবে। তত দিন বুথের নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্ব থাকবে প্রশাসনের উপর।
সিপিএম নেতা আনন্দ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই বুথে এক মহিলা প্রার্থী আমাদের হয়ে দাঁড়াতে রাজি ছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের হুমকিতে দাঁড়াতে পারেননি। |