|
|
|
|
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.৮ |
গরমে রেকর্ড গড়ল গুয়াহাটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি ও শিলচর |
প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল গুয়াহাটি। বুধবার এ শহরে অতীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সমস্ত রেকর্ড ছাড়িয়ে পারদ পৌঁছল ৩৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, স্বাভাবিকের থেকে তা ৭ ডিগ্রি বেশি। এর আগে, ১৯৭৯ সালের জুন মাসে গুয়াহাটির তাপমাত্রা ৩৮.৫ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল। শহরের ইতিহাসে এ দিনের আগে সেটাই ছিল সর্বোচ্চ উষ্ণতা। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, প্রচণ্ড তাপমাত্রায় রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোদের দাপট থেকে পড়ুয়াদের বাঁচাতে দু’দিন রাজধানীর সবকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
গরম, আর্দ্রতায় হাঁসফাঁস শহরবাসীকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্ঠির আশ্বাস দিতে পারেনি আবহাওয়া দফতরও। নাগরিকদের দুর্দশা আরও বেড়েছে জল-সংকট এবং একটানা লোডশেডিং-এ। বিদ্যুতকর্তাদের বক্তব্য, বৃষ্টি না-হওয়ার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলিতে উৎপাদন কমে গিয়েছে।
আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল এম কে গুপ্ত বলেন, “খাতায়-কলমে ৭ জুন অসমে বর্ষা ঢুকে পড়েছে। কিন্তু, বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিমে তৈরি হওয়া একটি সাইক্লোন, বর্ষার গতিপথ বদলে দেওয়াতেই এই বিপত্তি।”
গতকাল গুয়াহাটির খানাপাড়া ও জালুকবাড়িতে গরমে মৃত্যু হয়েছিল দু’জনের। পুলিশ জানায়, বুধবার হাইলাকান্দিতে শিবলাল রবিদাস নামে এক পথচারী আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। উলুবাড়িতেও অজ্ঞাতপরিচয় একজনের সান-স্ট্রোকে মৃত্যু হয়। নগাঁও জেলায় গরমের বলি হন মুজিবর রহমান। কাছাড়ের লেবারপুতায় পরমানন্দ দাস নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মাজুলিতে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। |
|
|
|
|
|