প্রার্থী প্রত্যাহার করতে হবে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে সিপিএম-তৃণমূলের মধ্যে বচসা সংঘর্ষের রূপ নেয়। লাঠি, ঢিল ছোড়াছুড়ি ও গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে একে অপরের বিরুদ্ধে। এই সংঘর্ষে উভয় দলের বেশ কয়েক জন জখম হয়েছেন। বুধবার বিকেলের পর থেকে এই ঘটনা ঘটে দুবরাজপুরের রসুলপুর গ্রামে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে তিন জনের চিকিৎসা চলছে। তাদের সমর্থক বলে দাবি করেছে সিপিএম।
হেতমপুর পঞ্চায়েতের রসুলপুর ও দোবান্দা গ্রাম নিয়ে একটি সংসদের প্রার্থী হয়েছেন সিপিএমের জাহানারা বিবি। অভিযোগ, দিন কয়েক থেকেই তাঁর প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছে তৃণমূল। |
দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চলছে চিকিৎসা। —নিজস্ব চিত্র |
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাধন ঘোষের অভিযোগ, “এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দা আমাদের সমর্থক। তাই প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের পাশাপাশি গ্রামের মানুষকেও তৃণমূল করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। এ দিন বিকেলের পর থেকে গ্রামে অস্ত্র নিয়ে তৃণমূলের লোকজন জড়ো হয়। আচমকা হামলা চালায়। তাতে আমাদের দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আরও দু’জন লাঠি ও ইটের ঘায়ে জখম হয়েছেন।” অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, “আমাদেরই প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছিল সিপিএম। বিকেলে খবর পাই, ওই সংসদে দাঁড়ানো আমাদের প্রার্থী নমিতা বাউড়ির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এটা শুনে গ্রামে দলের লোকজন গেলে হামলা চালায় সিপিএমের লোকজন।” মলয়বাবুর এই দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে সিপিএম। |