নিষেধাজ্ঞা ভেঙে বিডিও অফিসে ঢোকার চেষ্টা করায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে পুলিশকে লক্ষ করেও ইট, পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে রায়গঞ্জ বিডিও অফিস চত্বরে। কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জ করা হয়। তবে ঘটনায় কেউ জখম হননি।
উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী লাঠিচার্জ ও পুলিশ কর্মীদের লক্ষ করে ইট ছোড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “এ ধরনের কিছু আমার জানা নেই।” তবে রায়গঞ্জের বিডিও অমূল্য সরকার বলেন, “বেলা ৩টা অবধি মনোনয়ন জমা নেওয়া হয়। সওয়া তিনটা নাগাদ উত্তেজিত জনতা জোর করে বিডিও অফিসের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদেরকে সরিয়ে দেয়। লাঠিচার্জের কথা আমার জানা নেই।” অতিরিক্ত জেলাশাসক সোনাম ওয়াংদি ভুটিয়া বিকালে গোলমালের খবর পেয়ে বিডিও অফিসে যান। তিনি বলেন, “বিডিও অফিসে ঢুকতে বাধা পাওয়ায় পুলিশকে লক্ষ করে ইট, পাথর ছোড়া হয়। পুলিশ লাঠি উচিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে।” |
লাঠি উঁচিয়ে তাড়া। রায়গঞ্জে তরুণ দেবনাথের তোলা ছবি। |
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রায়গঞ্জ ব্লকের ১৪টি পঞ্চায়েত ও একটি পঞ্চায়েত সমিতির ২৫০ আসনে নানা রাজনৈতিক দলের প্রার্থী বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র পেশ করতে যান। প্রার্থীরাই দফতরে ভিতরে ঢুকতে পারেন। সকাল থেকে বিডিও অফিসের বাইরে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কয়েকশ কর্মী সমর্থক ভিড় করেন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা ৩টার পর ওই কর্মীরা ঢুকতে চাইলে গোলমাল হয়।
জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ বলেন, “নির্বাচন কমিশনের বিধি ভেঙে জনতা বিডিও অফিসের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করায় পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে শুনেছি। আমাদের দলের কেউ জখম হননি।” সিপিএম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অপূর্ব পাল বলেছেন, “আইন শৃঙ্খলার স্বার্থে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে কিছু বলার নেই।” আর তৃণমূলের জেলা সভাপতি অমল আচার্য বলেন, “কেউ আইন ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ তো হাতগুটিয়ে বসে থাকতে পারে না। আমাদের কেউ ওই কাজ করেননি।” |