স্পট ফিক্সিং মামলায় দিল্লি পুলিশকে বড়সড় ধাক্কা দিয়ে শ্রীসন্ত, অঙ্কিত চহ্বাণ এবং আরও সতেরো জনের জামিন মঞ্জুর করল আদালত। ধৃতদের বিরুদ্ধে মকোকা (মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অব অরগ্যানাইজড ক্রাইম অ্যাক্ট) প্রয়োগের আবেদনও নাকচ হয়ে গেল।
অন্য দিকে নয়াদিল্লিতে জরুরি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বোর্ড শ্রীসন্তদের ব্যাপারটা পাঠাল শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে। তবে তিন সদস্যের ওই কমিটিতে আর রইলেন না অপসারিত বোর্ড প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসন।
দিল্লির দায়রা বিচারপতি বলেন, দিল্লি পুলিশ এমন কোনও সাক্ষ্য-প্রমাণ পেশ করতে পারেনি যার ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মকোকা-র মতো কঠোর আইন প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া যায়। এমনকী ধৃতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় ষড়যন্ত্র, চিটিংবাজি এবং বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগেরও যথেষ্ট প্রমাণ নেই।
আগামী কালই তিহাড় থেকে মুক্তি পাচ্ছেন শ্রীসন্ত, অঙ্কিতরা। জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জামিন পেতে গত ক’দিন শ্রীসন্ত উপোস আর প্রার্থনা করেছেন। সারাদিন না খেয়ে রাতে শুধু ফলাহার করছিলেন। এমনকী ছাড়া না পাওয়া পর্যন্ত দাড়ি-গোঁফ কামাবেন না বলে মানতও করেন। অন্য দিকে, নববিবাহিত অঙ্কিত নাকি বিয়ে সেরে জেলে ফেরা ইস্তক গুম মেরে ছিলেন। জামিন পেয়েছেন শ্রীসন্তের তুতো ভাই এবং বুকি জিজু জনার্দনও। প্রত্যেককেই পঞ্চাশ হাজার টাকার জামিন এবং সমমূল্যের জামিনদারে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। অবশ্য শ্রীসন্তদের পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে।
স্পট ফিক্সিংয়ের আসল মাথা ডন দাউদ ইব্রাহিম এবং তাঁর শাকরেদ ছোটা শাকিল বলে দাবি করে দিল্লি পুলিশ এই দু’জনকেও সহ-অভিযুক্ত করেছে। কিন্তু আদালতের রায়ে স্পট ফিক্সিং মামলায় দিল্লি পুলিশের পক্ষ কিছুটা দুবর্ল হয়ে পড়ল। দিল্লির পুলিশ কমিশনার নীরজ কুমার অবশ্য বলেছেন, “আমরা আদালতের রায় খুঁটিয়ে দেখে আইনি পরামর্শ নেব।”
দিল্লি পুলিশের তরফে এ দিনও শ্রীসন্তদের জামিন রোখার চেষ্টা করা হয়। আদালতে পড়ে শোনানো হয় দাউদের সঙ্গে মুম্বইয়ে ধৃত বুকি রমেশ ব্যাসের কথোপকথন। রমেশ ব্যাসের সঙ্গে জিজুর ফোনে কথা হয় বলেও আদালতকে জানায় দিল্লি পুলিশ। কিন্তু ধৃতদের সঙ্গে দাউদ গোষ্ঠীর সরাসরি যোগাযোগের প্রমাণ দিতে পারেনি। অতিরিক্ত দায়রা বিচারপতি বিনয় কুমার খন্না বলেন, “অভিযুক্তরা দাগি অপরাধী নয়। তাই মকোকা প্রয়োগের কোনও কারণ আছে বলে আদালত মনে করে না।”
তবে শ্রীসন্ত এবং অঙ্কিত জামিন পেলেও অজিত চান্ডিলা জেলেই থেকে গেলেন। তিনি এখনও পর্যন্ত জামিনের আবেদন করেননি।
|