জেলা পরিষদের প্রার্থী পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই গ্রাম ছেড়েছেন আরামবাগের আরান্ডি ১ পঞ্চায়েতের ভারপ্রাপ্ত সিপিএম প্রধান। অভিযোগ, তৃণমূলের হুমকি ও হামলার জেরেই বাড়ি ঢোকেননি যুথিকা পণ্ডিত নামে ওই সিপিএম নেত্রী। এ দিকে পঞ্চায়েতের ভারপ্রাপ্ত প্রধানের অনুপস্থিতিতে একশো দিন কাজের শ্রমিকদের বকেয়া মজুরির প্রায় ৮ লক্ষ টাকা গত বুধবার জেলা থেকে এসে গেলেও তা শ্রমিকরা পাচ্ছেন না। পঞ্চায়েতের দৈনন্দিন পরিষেবাও বন্ধ। বিডিও প্রণব সাঙ্গুই বলেন, “সমস্যার কথা এখনও আমাদের কাছে আসেনি।” পাশাপাশি তিনি আরও জানান, নির্বাচনকালীন সময়ে এ নিয়ে ব্লক প্রশাসনের কিছু করার নেই। নির্বাচন কমিশনের কাছে বিষয়টা জানতে চাওয়া হবে।
গত সোমবার মহকুমাশাসকের অফিসে ব্যাপক অশান্তি ও উত্তেজনার মধ্যে আরামবাগ সাংসদ সিপিএমের শক্তিমোহন মালিকের নেতৃত্বে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করে সিপিএম। সেই দলেই ছিলেন যুথিকাদেবীর অভিযোগ, মনোনয়নপত্র তুলতে যাওয়ার পথে মহকুমাশাসকের অফিস চত্বরেই মারধরের হুমকি দিচ্ছিল তৃণমূলের ছেলেরা। পুলিশি নিরাপত্তায় সেখান থেকে বেরিয়েই বাড়ি থেকে ফোন পান, মনোনয়ন তুলে নেওয়ার ফতোয়া দিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়েছে তৃণমূলের কিছু লোকজন। এরপর থেকে মাঝে মধ্যেই বাড়ি এসে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতি বাড়ি ফিরতে তিনি সাহস পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন যুথিকাদেবী। অন্য দিকে, আরান্ডি অঞ্চলের তৃণমূল নেতা সোহরাব হোসেন বলেন, “প্রধানকে কেউ হুমকি দেয়নি। বাড়িতেও হামলা হয়নি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে তিনি নিজেই সরে পড়েছেন।”
প্রসঙ্গত, আরান্ডি ১ পঞ্চায়েত বিধানসভা ভোটের পর থেকেই দফায় দফায় অচল হয়েছে। প্রধান শেখ আব্দুল আজিজের উপরে একাধিক বার হামলা হওয়ায় তিনি ঘরছাড়া হন। নানা অভিযোগে গ্রেফতারও করা হয় তাঁকে। প্রধানের অবর্তমানে উপপ্রধানকে দায়িত্ব দেয় ব্লক প্রশাসন। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধানও তৃণমূলের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা ও খবরদারির অভিযোগ তোলেন। অভিযোগ মানতে চায়নি তৃণমূল। |