দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রবিবার ডুয়ার্সের কালচিনি ব্লকের হাসিমারা ফাঁড়ির রাজীবনগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতদের নাম প্রশান্ত দাস (২২) ও অঙ্কিতা দাস (২২)। ওই এলাকায় তাঁদের বাড়ি। শোওয়ার ঘরে সিলিং-এর হুকে দেহ দু’টি ঝুলছিল। হাসিমারা ফাঁড়ি ওসি বিভূতিভূষণ বর্মন বলেন, “প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। দেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার নয়। কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি।” পুলিশ সূত্রে খবর, রাত অবধি কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
বছর দেড়েক আগে শিলিগুড়ির হায়দারপাড়ার বাসিন্দা অঙ্কিতা’র সঙ্গে সোসাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে প্রশান্তের পরিচয় হয়। হাসিমারায় প্রশান্তের মোবাইলের দোকান রয়েছে। পরিচয় হওয়ার কিছু দিন পর বাড়ির অমতে তাঁরা পালিয়ে বিয়ে করেন। এর পরে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন প্রশান্ত। পারিবারিক সমস্যার জেরে ওই দম্পতি ভাড়া বাড়িতে চলে যায়। চার মাস আগে প্রশান্ত স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন। প্রশান্তের বাবা নিতাইবাবুর গ্যারেজ এবং লেদ মেশিনের ছোট কারখানা রয়েছে।
অঙ্কিতার বাবা সঞ্জীব দাস জানান, মেয়ে প্রেম করে বিয়ে করেছিল। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি থেকে পণ দাবি করে। মেয়ে জানিয়েছিল, শ্বশুরবাড়ি থেকে বলা হত প্রশান্তের সামাজিক ভাবে বিয়ে হলে যা যা পণ মিলতে তা দিতে হবে। সামান্য ঠিকাদারের অধীনে কাজ করি। প্রায় ৪ ভরি সোনা কয়েক দফায় দিয়েছি। গত বৃহস্পতিবারও এক জোড়া সোনার কানের দুল নিয়ে যায়। জামাই মেয়েকে খুবই ভালবাসত। এখন মনে হচ্ছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওঁর উপর মানসিক অত্যাচার করতেন। সঞ্জীববাবু বলেন, “পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযোগ করব।”
পুলিশ তদন্তে জেনেছে, সম্প্রতি প্রশান্তেরও ব্যবসার অবস্থা ভাল যাচ্ছিল না। সম্প্রতি তিনি বাইকটিও বিক্রি করে দেন। প্রশান্তের দুই বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ওই দম্পতি থাকতেন। |