খেলাধূলার উন্নতিতে শহরের ২৭টি ক্লাবকে আর্থিক সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ। সব কিছু ঠিক থাকলে আজ, সোমবার পুরসভায় ক্লাবের কর্মকর্তাদের হাতে ১০ হাজার টাকা করে তুলে দেবেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই ক্লাবগুলিকে চিঠি পাঠিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। লিগের খেলা চালাতে খরচের বহর বেড়েছে। পেরে উঠছেন না অনেক ক্লাব কর্তারা। অর্থিক সমস্যার কারণে ভাল দল তৈরি করতে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। বিষয়টি জানার পরই ক্লাবগুলিকে ডেকে তাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন পুর কর্তৃপক্ষ। সেই মতো পুর এলাকায় অবস্থিত শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ অনুমোদিত ক্লাবগুলিকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এই মূহূর্তে শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগে সুপার ডিভিশন ফুটবল লিগের খেলা চলছে। সে কারণে ওই টাকা পেলে তা খেলার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন বলে অনেকেই মত দেন। আবার অনেকে ওই টাকা খেলাধূলার জন্য অন্য কোনও খাতে ব্যবহার করতে চান।
পুরসভার ক্রীড়া বিভাগের মেয়র পারিষদ সুজয় ঘটক জানান, শিলিগুড়ি পুর এলাকায় পরিষদের অনুমোদিত ২৮টি ক্লাব রয়েছে। তার মধ্যে একটি রেলওয়ে ইনস্টিটিউট ক্লাব। রেলের তরফেই তারা সাহায্য পেয়ে থাকে। সুজয়বাবু বলেন, “তাই আলাদা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না। বাকি ২৭ ক্লাবকে সহায্য করা হচ্ছে।”
১০ হাজার টাকা করে ক্লাবগুলিকে পুরসভার তরফে আর্থিক সাহায্য করার সিদ্ধান্তে খুশি ক্লাবের কর্মকর্তারাও। শিলিগুড়ি কিশোর সঙ্ঘের কার্যনির্বাহী সভাপতি কমলেন্দু গুহ বলেন, “পুরসভার ওই আর্থিক সাহায্য দিয়ে ক্লাবের ‘স্পোর্টস লাইব্রেরি’র জন্য বই কেনা হবে। পুরসভা এ ধরনের সাহায্যের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমরা খুশি।” এ বছর শিলিগুড়ি সুপার ডিভিশন ফুটবল লিগে ফেভারিট দলগুলির তালিকায় রয়েছে মহানন্দা ক্লাব। লিগে এখনও তাদের দুটি ম্যাচ বাকি থাকতে তারা ১৩ পয়েন্ট পেয়েছে। বাঘা যতীন ক্লাব ১৮ পয়েন্ট পেয়ে এগিয়ে। তবে তাদের কোনও ম্যাচ বাকি নেই। মহানন্দা ক্লাবের ফুটবল সচিব কৌশিক দত্ত জানান, এখনও তাঁরা ঠিক করেননি পুরসভার আর্থিক সহায়তা কী কাজে লাগাবেন। তবে লিগের আরও দুটি মাচ তাদের বাকি রয়েছে। তাই একাংশ খরচ প্রয়োজনে লিগের ম্যাচ খেলার খরচের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। দুই এক দিনের মধ্যেই কর্মকর্তারা মিলে তা ঠিক করবেন। শিলিগুড়ি অগ্রগামী সঙ্ঘের এক কর্তা বিজয় ভৌমিক বলেন, “যদিও ওই সাহায্যের পরিমাণ খুব বেশি নয়। তবু তারা খেলাধূলার উন্নতিতে কিছু করতে চাইছেন এটাই বড় ব্যাপার।” |