হাসপাতালে ভর্তি আইরিশ তরুণীর অবস্থা আগের তুলনায় ভাল। তবে এখনই তাঁকে সম্পূর্ণ বিপন্মুক্ত বলা যাচ্ছে না। রবিবার হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি ওই তরুণী মানসিক অবসাদেও ভুগছেন। এ দিন তাঁর একাধিক শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আরও কয়েক দিন তাঁকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
পুলিশ জানায়, ঘুমের বড়ি-সহ নানা ওষুধ একসঙ্গে অতিরিক্ত মাত্রায় খেয়ে ফেলায় ওই তরুণীকে শনিবার ভোরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাতের দিকে তাঁর অবস্থার উন্নতি হলেও এ দিন সকালে আচমকাই তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। পরে অবশ্য চিকিৎসকেরা তা নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আয়ারল্যান্ডের ওই তরুণী গত সপ্তাহে পুলিশের কাছে কালীঘাটের এক যুবকের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবক সুজয় মিত্রকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে ধৃত যুবক পুলিশি হেফাজতে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বিদেশিনি ইতিমধ্যেই আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। গত সপ্তাহেই এই ঘটনার তদন্তভার কালীঘাট থানার হাত থেকে নিয়ে গোয়েন্দা বিভাগের উইমেন্স গ্রিভান্স সেলের হাতে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ওই বিদেশিনি এক সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের কাজে গত মাসে এ শহরে আসেন। ৩১ মে রাতে নিজের জন্মদিনে পার্ক স্ট্রিটের এক নৈশ ক্লাবে পার্টি দেন তিনি। সে দিনই পরিচয় হওয়া সুজয়কে সেই পার্টিতে আমন্ত্রণ জানান। অভিযোগ, ওই রাতেই নৈশ ক্লাব থেকে সুজয় ওই তরুণীকে তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে যৌন নিগ্রহ করেন। ১ জুন বিকেলে পুলিশে অভিযোগ জানান ওই বিদেশিনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, যৌন নিগ্রহের আগে ওই তরুণীকে মাদক খাওয়ানো হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে ওই বিদেশিনি মধ্য কলকাতার একটি হোটেলে ওঠেন। সেখান থেকে যান ইএম বাইপাসের ধারের একটি হোটেলে। শুক্রবার তিনি ওই হোটেল ছেড়ে ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের হোটেলে উঠেছিলেন।
|