১০০ দিন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে লাভপুরের বিপ্রটিকুরী পঞ্চায়েতে। তাঁদের অন্ধকারে রেখে পঞ্চায়েত প্রধান, এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট, এবং জব অ্যাসিস্ট্যান্ট কোনও কাজ না করে ভুয়ো মাস্টার রোল দাখিল করে ওই প্রকল্পের টাকা আত্মসাত্ করেছেন এই মর্মে বিডিও-র কাছে অভিযোগ করেছেন গ্রামোন্নয়ন সমিতির সচিব এভং পঞ্চায়েত সদস্য।
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এই প্রকল্পের মাধ্যমে সের আলি দফাদারের বাড়ি থেকে তালবোনা পাড় পর্যন্ত রাস্তায় হিউম পাইপ বসানো ও মাটি ফেলা-সহ তালবোনা পাড় থেকে কবরস্থান পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য দু’দফায় প্রায় ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। বিপ্রটিকুরী ১ নম্বর গ্রাং সংসদের তৃণমূল সদস্য দ্বীজেন দাস ও সচিব অশোক মণ্ডলের অভিযোগ, “রাস্তাটি আগেই মোরাম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজটিও করা হয়নি। পঞ্চায়েত প্রধান, অ্যাসিস্টান্ট, জব অ্যাসিস্ট্যান্ট যোগসাজোস করে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাত্ করেছেন। ভুয়ো মাস্টার রোলে কর্মরত স্থানীয় এক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মীর নামও রয়েছে।” জব অ্যাসিস্ট্যান্ট শ্রীকুমার ঘোষ বলেন, “অভিযোগ ঠিক নয়। রাস্তার কাজ হয়েছে। যে পরিমাণ মাটি কাটা হয়েছে তার রিপোর্ট পঞ্চায়েতে জমা দিয়েছি। সেই মতো মজুরিও দেওয়া হয়েছে।” অভিযোগের বিষয়ে জানা নেই বলে জানান এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্টান্ট জগন্নাথ মণ্ডল। পঞ্চায়েত প্রধান পম্পা থান্দার অবশ্য বলেন, “আসলে ওই সদস্য ও সচিব প্রকল্প রূপায়নে সহায়তা করেননি। উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত কারণে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।” লাভপুরের বিডিও দেবাশিস চৌধুরী বলেন, “অভিযোগ সম্পর্কে এখনই কিছু বলতে পারছি না। হাতে পেলে খতিয়ে দেখব।” |