মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ প্রায় শেষ। কিন্তু ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন স্তরে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য যে নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন রয়েছে সেই সংখ্যার তুলনায় শুধু তৃণমূল দলের হয়েই অনেক বেশি সংখ্যক মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। এর থেকেই একটি বিষয় স্পষ্ট এক আসনের জন্য একাধিক প্রার্থী তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। গোষ্ঠী কোন্দল এবং নিজেদের মধ্যে বিরোধের কারণেই যে এমনটা হয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা তৃণমূলের একাধিক নেতা। সেই বিরোধ মেটাতে এবং মনোনয়ন পর্বের শেষে নির্বাচনে লড়ার রণকৌশল কী হবে সেটা ঠিক করতে রবিবার সিউড়িতে বীরভূম জেলার ১৯টি ব্লকের সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করলেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী তথা এই জেলার দায়িত্বে থাকা মলয় ঘটক। |
দলীয় সভায় মলয় ঘটক। —নিজস্ব চিত্র। |
বৈঠক শেষে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করার সময়ও নিজেদের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে নির্বাচনে লড়ার প্রসঙ্গ তুলেছেন মলয়বাবু। তিনি বলেন, “কাদেরকে দলের প্রতীকে লড়তে দেওয়া হবে সেটা নির্দিষ্ট করতেই আলোচনা হয়েছে। প্রার্থীদের ‘বি-ফর্ম’ তুলে দেওয়ার দায়িত্ব আমার উপর পড়েছে। সেটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে।” কিন্তু দিন কয়েক আগে নির্বাচনের জন্য সিউড়ি মহকুমার দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে হওয়া শতাব্দী রায়ের কর্মিসভা থেকে অবজার্ভার রজত মজুমদারও নিজে প্রার্থীদের প্রতীক তুলে দেওয়ার কথা জানানোর পরে মলয়ঘটকের এই বৈঠক ঘিরে দলের নীচুতলার কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। এ প্রসঙ্গে মলয়বাবু বলেন, “রজতবাবু ঠিক কী বলেছেন আমার জানা নেই। ওঁর সঙ্গে এ ব্যাপারে আমার কোনও কথা হয়নি।” |