প্রায় এক মাস ধরে চলছিল প্রচার। কখনও বাড়ি বাড়ি গিয়ে। কখনও ছোট সভা করে। আজ, রবিবার বনগাঁর খেলাঘর ময়দানে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য জনসভা করতে আসছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রায় তিন বছর পরে বুদ্ধবাবুর এই সভার জন্যই জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছিল সিপিএম। সিপিএম সূত্রের খবর, বুদ্ধবাবু এলে সাধারণ গ্রামবাসীদের অনেককে যেমন পাশে পাওয়া যাবে, তেমনই তৃণমূলের ‘বাড়বাড়ন্তে’ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া দলীয় কর্মী-সমর্থকদেরও চাঙ্গা করা সহজ হবে। সেই কারণেই ওই জনসভার আয়োজন।
সিপিএমের বনগাঁ-বাগদা জোনাল কমিটির সম্পাদক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, “শুধু আমাদের মতাদর্শে বিশ্বাসীরাই নন, যে সব গরিব মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, এই প্রচার অভিযানে তাঁদের অনেকেই আমাদের পক্ষে ফিরে এসেছেন।” ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে বনগাঁ মহকুমায় একের পর এক ভোটে সিপিএম তথা বামেদের ভরাডুবি হয়েছে। গত বারের পঞ্চায়েত ভোটে মহকুমার তিনটি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে দু’টিতে সিপিএম পরাজিত হয়। বনগাঁ লোকসভা আসন তৃণমূলের দখলে।
২০১০ সালের পুর নির্বাচনে বামেদের হারিয়ে বনগাঁ পুরসভা দখল করে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। আর ২০১১ সালে মহকুমার চারটি বিধানসভা আসনেই জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থীরা।
পরের পর বির্পযয়ে বনগাঁয় সিপিএম নতুন ভাবে সংগঠন সাজিয়েছে। বনগাঁ জোনাল কমিটি ভেঙে বনগাঁ-গাইঘাটা এবং বনগাঁ-বাগদা, দু’টি জোনাল কমিটি গড়া হয়েছে। এ বার বুদ্ধবাবুকে এনে সভা করিয়ে সেই সংগঠনে আরও জোর আনতে চাইছেন মহকুমার সিপিএম নেতারা। সভায় থাকবেন দলের জেলা সম্পাদক গৌতম দেবও। সেই জন্য বিভিন্ন রাস্তার মোড় তোরণে সাজানো হয়েছে। অনেক দিন পরে বহু জায়গায় উড়ছে সিপিএমের দলীয় পতাকা। সিপিএম নেতা অমিতাভ নন্দী বলেন, “এই সভায় বুদ্ধবাবুর উপস্থিতিতে নিশ্চয়ই কর্মী-সমর্থকেরা উদ্দীপ্ত হবেন।” |