এ বার মহিলা প্রার্থীদের অপহরণের অভিযোগও উঠতে শুরু করল পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার গোপালপুর-২ পঞ্চায়েতের এআইইউডিএফ প্রার্থী হিসেবে গত ৫ মে মনোনয়ন জমা দেন ভুবনপুর গ্রামের নুরবানু খাতুন নামে বসিরহাট কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। সেই রাতে কয়েকজন যুবক নুরবানুকে অপহরণ করে বলে শুক্রবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর বাবা মোতালেব মণ্ডল। পক্ষান্তরে ৪ মে সন্দেশখালি-২ ব্লকের বেড়মজুর-২ পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী পুতুল মুণ্ডাকে অপহরণ করা হয় বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর স্বামী সঞ্জিৎ মুণ্ডা।
নুরবানুর ক্ষেত্রে অপহরণকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে পরিবারের লোকজন কিছু জানাননি। ওই তরুণীর বাবা মোতালেব এলাকায় তৃণমূল সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, “জনা সাতেক যুবক মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়।” হাড়োয়ার তৃণমূল নেতা সঞ্জু বিশ্বাসের দাবি, “নুরবানুকে আমাদের প্রার্থী করা হবে বলে ঠিক হয়েছিল। অথচ, তাঁকে ভয় দেখিয়ে নুরবানুকে এআইইউডিএফ তাদের পক্ষে মনোনয়ন জমা দিতে বাধ্য করে। এখন কোথাও আটকে রেখেছে।” এআইইউডিএফের ব্লক সভাপতি ফিরোজ মোল্লার পাল্টা দাবি, “নুরবানু সাবালিকা। তাঁকে জোর করে প্রার্থী করা হয়নি। তৃণমূলের হাঙ্গামার ভয়ে অন্যত্র কোথাও আছেন। তৃণমূলের লোকজন মিথ্যা অভিযোগ করছে।”
পুতুল মুণ্ডার স্বামী সঞ্জিৎ মুণ্ডা অবশ্য তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অপহরণের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি জানান, ৪ মে তাঁর স্ত্রী ব্লক অফিসে মনোনয়ন জমা দিয়ে বাড়ি ফেরেন। সন্ধ্যায় বেরিয়ে আর ফেরেননি। সন্দেশখালির সিপিএম নেতা আবু বক্কর লস্কর বলেন, “আমাদের প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। পুতুল মুণ্ডাকে ওরা অপহরণ করেছে।” সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা রঞ্জিত দাস পাল্টা বলেন, “রাজনৈতিক মতলবে মিথ্যা অভিযোগ করছে মহিলার পরিবার।” |